ইন্টারনেটের ধীরগতির ব্যাখ্যা দিল আইএসপিএবি

Looks like you've blocked notifications!

দেশে বেশ কয়েক দিন ধরে চলা ইন্টারনেটে ধীরগতির ব্যাখ্যা দিয়েছে সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস আমরা বিএসসিসিএলের মাধ্যমে পাই, ২৮০+ জিবিপিএস ব্যবহৃত ইন্টারনেট আইটিসি ব্যান্ডউইথ, যা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। মোট ব্যান্ডউইথের ৭৫ শতাংশের বেশি ইন্টারনেট আইটিসি দিয়েই আসে। ভারত থেকে দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আইটিসি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে, যারা হলো টাটা কমিউনিকেশন ও ভারতীয় এয়ারটেল।’

এতে আরো বলা হয়, ‘i2i নামক একটি সাবমেরিন টেলিকমিউনিকেশন ক্যাবল দ্বারা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত যুক্ত। এই ক্যাবলের মালিকানায় রয়েছে ভারতের ভারতীয় এয়ারটেল লিমিটেড। কিন্তু চেন্নাইয়ের সমুদ্র তীর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে একটি স্থানে ক্যাবলটি কাটা পড়ার কারণে গত ১৩ ডিসেম্বর রাত ২টা থেকে সেটি অকেজো রয়েছে। এ ছাড়া টাটা ইনডিকম ক্যাবল (TIC) নামে আরো একটি সাবমেরিন ক্যাবল দ্বারা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত সংযুক্ত রয়েছে। যেটি টাটা ইনডিকম ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর ক্যাবল সিস্টেম নামেও পরিচিত। ক্যাবলটি ভারতের চেন্নাই ও সিঙ্গাপুরের চাঙ্গির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। কিন্তু গত ৪ জানুয়ারি রাত ১টা থেকে সেটিও অকেজো হয়ে পড়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এছাড়া ইন্ডিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ (IMEWE) আরেকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফাইবার অপটিক ক্যাবল দ্বারা ভারত মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত। এই ক্যাবলটিও এখন অকেজো রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হচ্ছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘IMEWE ক্যাবল চলতি সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। i2i ক্যাবল আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে TIC ক্যাবলের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট জানানো হয়নি। ক্যাবল তিনটির মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি আবারও আগের মতো স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।’