মঙ্গলে মিলল কাচ

এই প্রথম মঙ্গলে পাওয়া গেছে কাচ। মঙ্গলকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) মার্স রিকোয়েসেন্স অরবিটার (এমআরও) একটি জ্বালামুখে এই কাচের সন্ধান পেয়েছে। এই আবিষ্কার মঙ্গলের পরিবেশ সম্পর্কে জানা ও জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় সহায়ক হতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী জিওলজিতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মঙ্গলে কাচ পাওয়ার বিষয়টি জানান নাসার গবেষকরা। ওই গবেষকরা এমআরওর পাঠানো তথ্য নিয়ে গবেষণা করেন।
গবেষকরা বলেন, মঙ্গলের পৃষ্ঠে গ্রহাণুর প্রচণ্ড আঘাতের ফলে উপরিতলের কিছু অংশ গলে যায়। পরে ওই অংশ দ্রুত ঠান্ডা হয়ে কাচে পরিণত হয়। এভাবে ভূপৃষ্ঠের মাটি ও পাথর গলে তৈরি হওয়া কাচকে বলা হয় ‘ইমপ্যাক্ট গ্লাস’।
গবেষকরা বলেন, ইমপ্যাক্ট গ্লাসের মধ্যে সামান্য পরিমাণ জৈব পদার্থ থাকে। লাখো বছর আগে পৃথিবীর ওপর আঘাত হানা গ্রহাণু নিয়ে গবেষণায় এমন জৈব পদার্থের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
গবেষকরা আশা করেন, মঙ্গলে কখনো জীবন থাকলে ইমপ্যাক্ট গ্লাসের মধ্যে এর অস্তিত্ব থেকে যাবে। কারণ, গ্রহাণুর আঘাতের পর অত্যন্ত তাপ ও চাপের পরপরই তা দ্রুত ঠান্ডা হয়। শীতল হওয়ার প্রক্রিয়া এতটাই দ্রুত হয় যে অণুগুলো সুগঠিত হতে পারে না। এর মধ্যেই অণুজীব আটকে যেতে পারে।
গবেষকরা বলেন, ইমপ্যাক্ট গ্লাসের মধ্যে জীবনের অস্তিত্ব খোঁজা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে আশার কথা হলো, এমনই পরীক্ষা করার মতো বিষয় অন্তত পাওয়া গেছে। আর পরীক্ষা করা একেবারে অসম্ভব নয়। আগামী ২০২০ সালে মঙ্গলে পরবর্তী রোবটযান পাঠানো হবে। রোবটযানের সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে ইমপ্যাক্ট গ্লাস পাওয়া অঞ্চল।