কীটনাশক ব্যবহারে ধানের ফলন বাড়ে না!

ধান চাষে কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষকরা কোনো সুবিধা পান না। উৎপাদন তো বাড়েই না, বরং উৎপাদন ব্যয় বাড়ে, আর এর পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিআরআরআই) নতুন গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, কীটপতঙ্গ নিধনে ধানক্ষেতে গাছ লাগিয়ে পাখিদের বসার জায়গা করে দেওয়ায় কৃষক যে সুফল পান, কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে তেমন ফলনও পাওয়া যায় না।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমন ও বোরো মৌসুমে সমন্বিত কৃষি উৎপাদন প্রকল্পের (আইএপিপি) আওতায় রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে কৃষকদের আটটি জমিতে বিআরআরআইয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালান। এতে দেখা গেছে, যে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে উৎপাদন তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিআরআরআইয়ের সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব কীটপতঙ্গের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতি হতে পারে, কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সেসব কীটপতঙ্গের প্রাকৃতিক শত্রু কমে যায়। কয়েকটি জমিতে যেখানে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে কীটপতঙ্গের প্রাকৃতিক শত্রুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর মাধ্যমে এটিই বোঝায় যে, কীটনাশক ব্যবহার প্রাকৃতিক শত্রুর বংশবিস্তারে প্রভাব ফেলে।
গবেষকরা কৃষকদের ভালো ফলনের জন্য জমিতে নিয়মিত ও নির্বিচারে সমন্বিত কীট ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) পদ্ধতি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে পরিবেশদূষণও প্রতিরোধ করা হবে।