ড্রোন আনছে ফেসবুক

Looks like you've blocked notifications!
ইন্টারনেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে ড্রোন ব্যবহার করবে ফেসবুক। ছবি : ফেসবুক

সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক নির্মাণ করছে ড্রোন। পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবার পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে মনুষ্যবিহীন এই বিমান। এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

‘অ্যাকুইলা’ নামে পরিচিত সৌরশক্তি চালিত এই ড্রোন এক নাগাড়ে আকাশে উড়তে পারবে তিন মাস। এই সময়ে বেস স্টেশনের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে। আকারে বেশ বৃহৎ অ্যাকুইলা। এর দুই পাশের ডানা থাকছে বোয়িং ৭৩৭-এর মতো প্রশস্ত। যাতে যুক্ত থাকবে সোলার প্যানেল। 

ড্রোনটি উড়বে ৬০-৯০ হাজার ফিট উঁচুতে। আর যেটি বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের সীমা থেকে অনেক উঁচুতে। বাণিজ্যিক বিমানের রুটের কোনো সমস্যাই তাই সৃষ্টি করবে না ফেসবুকের এই ড্রোন। একই সাথে এই উচ্চতায় আবহাওয়াও খুব বেশি প্রভাব খাটাতে পারবে না ড্রোনটিতে। সারাদিন চার্জ নিতে থাকা এই উড়োজাহাজ রাতের অংশটুকু ভেসে চলবে। 

তবে এই ড্রোনটিতে থাকছে না কোনো চাকা। আর তার ফলে সাধারণ উড়োজাহাজ কিংবা ড্রোনের মতো রানওয়েতে ‘রান’ করে আকাশে উড়বে না অ্যাকুইলা। তার বদলে হিলিয়াম বেলুনে ভর করে একে নিয়ে যাওয়া হবে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায়। এই উচ্চতা থেকেই যাত্রা শুরু করবে ড্রোনটি।
 
কিছুদিন আগেই ফেসবুক ‘ইন্টারনেট ডট অর্গ’ নামের সেবা চালু করেছে। আর এর মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে ফেসবুক। এই সেবা আরো বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই প্রজেক্ট হাতে নেয় ফেসবুক।
 
ফেসবুকের প্রকৌশল বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জয় পারিখ জানান, ‘পৃথিবীর সবাইকে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সংযুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। একই সাথে এই প্রযুক্তিকে আরো বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়াকে আমরা অনুপ্রাণিত করার সুযোগ পাচ্ছি।’

এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে চালু রয়েছে এই সেবা। স্থানীয় আইএসপির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) সাথে জোট বেঁধে ফেসবুক ইন্টারনেট সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে শুধু সীমিত কিছু ওয়েবসাইট এই সুবিধার আওয়ায় থাকায় সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ফেসবুককে।
 
ফেসবুকের সাথে সাথে গুগলও এ ধরনের সেবা চালুর কথা ভাবছে। ড্রোনের বদলে হিলিয়াম বেলুন নিয়ে আসতে যাচ্ছে গুগল। আর তাদের এই প্রজেক্টের নাম ‘প্রজেক্ট লুন’। প্রজেক্ট লুনকে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘অ্যাকুইলা’-এর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে।