আকাশ, সাগর ও সাগরতলে চলবে যে ড্রোন
মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য আকাশে ওড়ার ড্রোন আর যথেষ্ট নয়। সমুদ্রে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজন এমন ড্রোন যা আকাশে ওড়ার পাশাপাশি সমুদ্রেও ভেসে চলতে পারবে এবং সমুদ্রের নিচেও চলাচল ও যুদ্ধে কার্যকর হবে। এই প্রয়োজন মেটাতে পারে উড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের পেটেন্টকৃত ড্রোন, যা আকাশে, পানিতে ও পানির তলায় চলতে পারে।
এর আগে মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষকরা তৈরি করেন ফ্লিমার। এই মনুষ্যবিহীন যানটি পাখার পরিবর্তন ঘটিয়ে পানির ওপর চলার উপযোগী হয়। তবে একে ছাড়িয়ে গেছে বোয়িংয়ের পরিকল্পনা। বোয়িং তাদের পেটেন্টকৃত ড্রোনটির নাম দিয়েছে ‘র্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার ভেহিকেল’।
পেটেন্টে বোয়িং জানিয়েছে, পরিকল্পিত ড্রোনটি পাখার ওপর ভর করে আকাশে উড়বে। তবে পানিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ড্রোনটির পেছনের পাখার বাড়তি অংশ খুলে পড়ে যাবে। পেছনের অংশ টাইবাইনের সৃষ্টি হয়ে এটি পরিণত হবে সাবমেরিন ড্রোনে। এরপর ড্রোনটি পানির মধ্যেই বেশ কিছু সময় চলতে পারবে। পানির নিচের কাজ শেষ করে ড্রোনটি ভেসে উঠবে এবং এর অবস্থান সম্পর্কে বেতার তরঙ্গে নির্দেশনা পাঠাবে। ওই নির্দেশনা অনুসরণ করে নির্ধারিত জাহাজ বা বিমান ড্রোনটিকে উদ্ধার করবে।
এমন জটিল ড্রোন তৈরির কারণ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বলা যায়, পানির ওপর বা নিচের চেয়ে অনেক দ্রুত চলা যায় আকাশে। আরেকটি বিষয় হলো, কোনো দেশের সাগর তীরবর্তী নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে আকাশপথে কোনো ড্রোনকে সহজেই সাগরে ফেলা সম্ভব।
পপসায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বোয়িং-এর পরিকল্পিত ড্রোনে সমস্যা বলতে একটাই—পানির ওপর থেকে এটি আবার উড়তে পারবে না। তবে ব্যয়বহুল কোনো অভিযানে এমন ড্রোন একবারের জন্যই ব্যবহার করা যায়। অভিযান শেষে ফিরিয়ে না এনে সেখানেই ড্রোনটিকে ধ্বংস করে ফেলা যায়।