ভিডিও শেয়ারিং সাইটে কর্মকাণ্ড বাড়াবে বিবিসি

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার যতই প্রচারমাধ্যমের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের অধিকার নিয়ে কথা বলুক, সব দেশের নাগরিকরা যে এ ব্যাপারে সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন না, তা কারো অজানা নেই। রাশিয়া বা থাইল্যান্ডের মতো অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী দেশগুলো তো বটেই, উত্তর কোরিয়ার মতো বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রগুলোর নাগরিকরা অনেক ক্ষেত্রেই এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাঁদের কথা চিন্তা করেই কি না, ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি এবার ওই সব দেশে নিজেদের প্রভাব আরো জোরেশোরে বিস্তার করার পরিকল্পনা করছে। ব্রিটিশ ওয়েবসাইট উইয়ার্ড জানিয়েছে এ তথ্য।

উইয়ার্ড-এর খবরে বলা হয়েছে, বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টনি হাল বলেছেন, ‘গত ১০ বছর আগেও বিশ্বের অনেক দেশেই মানুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের সুবিধা ভোগ করত, কিন্তু এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, ওই সব বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে এই সুযোগগুলো আরো ভালোভাবে পৌঁছে দেওয়া।’

বিবিসি বর্তমানে বেশ কিছু পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে চায় এই পরিস্থিতির উন্নয়নে। সে ক্ষেত্রে সংবাদ সংস্থাটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় ইউটিউব অথবা রুটিউব (ইউটিউবের মতো রুশ ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট)।

এ ছাড়া সংবাদ সংস্থাটি সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করতে চায় উত্তর কোরিয়া, ইথিওপিয়া কিংবা ইরিত্রিয়ার মতো দেশগুলোতে। প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের তালিকায় এ চারটি দেশই সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে।

১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই সংবাদ প্রচারে সারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করে সরকারি অর্থায়নে চালিত এই ব্রিটিশ গণমাধ্যম। টেলিভিশন থেকে শুরু করে রেডিও বা ইন্টারনেট, প্রায় সব মাধ্যমকে কেন্দ্র করে সংবাদ প্রচার করে আসছে সংস্থাটি।