কম খাবারে নীল তিমির অরুচি!

Looks like you've blocked notifications!
খাবারের পরিমাণ বেশি হলেই কেবল নীল তিমি বেশি মনোযোগে খায়। কম পরিমাণ খাবার খেতে গিয়ে বেশি শক্তি ব্যয়ের মধ্যে এরা নেই। ছবি : রয়টার্স

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী তিমি। আর এই প্রাণীর প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় নীল তিমি। বিশাল আকৃতির এর প্রাণীর খাবার গ্রহণের পরিমাণও তুলনামূলক বেশি হবে এটিই স্বভাবিক। তবে, খাবার গ্রহণে নীল তিমি অদ্ভুত নীতি মেনে চলে। খাবারের পরিমাণ বেশি হলেই কেবল এরা বেশ মনোযোগে খায়। কম পরিমাণ খাবার খেতে গিয়ে বেশি শক্তি ব্যয়ের মধ্যে এরা নেই। সম্প্রতি নীল তিমির খাদ্যগ্রহণ বিষয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।

সমুদ্র ও আবহাওয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্টের সংস্থা ইউএসএনওএর গবেষকরা নীল তিমির খাবার গ্রহণের ওপর গবেষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পার্শ্ববর্তী সমুদ্রে ৫০টি নীল তিমির ওপর এই গবেষণা চালানো হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, ছোট চিংড়ির মতো প্রাণী ‘ক্রিল’কে অনুসরণ করে নীল তিমি। তবে তখনই শুধু এরা বেশ শক্তি ব্যয় করে খাবার গ্রহণ করে। অল্পসংখ্যক খাবার খেতে তুলনামূলক অনেক কম শক্তি ব্যয় করে নীল তিমি।

গবেষক এলিয়ট হ্যাজেন বলেন, কম খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে নীল তিমি অক্সিজেন সংরক্ষণ নীতি মেনে চলে। তবে খাবারের পরিমাণ যখন বেশি হয়, তখন সংরক্ষিত অক্সিজেন ব্যবহার করে নীল তিমি।

নীল তিমির মুখে ক্যারোটিন নামক বস্তুর জাল থাকে যা খাবারকে পানি থেকে আলাদা করে। অনেকটা জালে মাছ ধরার মতো করে তিমি এর খাবার শিকার করে। মুখ বিস্তৃত করে নীল তিমি এগিয়ে চলে। এর ফলে এর মুখের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি যায়, যেখানে প্রচুর খাবারও থাকে। পরে মুখের পেশি ও জিহ্বা দিয়ে পানি বের করে দেয় তিমি। এর পর থেকে যায় শুধু খাবার। গবেষকরা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই নীল তিমি ক্রিল খায়।