মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কার নিয়ে লুকোছাপা

Looks like you've blocked notifications!
মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের আবিষ্কার মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। এটি আবিষ্কার হয়েছে বলে কয়েক মাস ধরেই বিজ্ঞানী মহলে কানাঘুষা চলছে। ছবি : গার্ডিয়ান

‘মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ’ শব্দটি জ্যোতির্বিদদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কোনোভাবে এই তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করা গেলে মহাকাশ গবেষণার পুরো চিত্রই পাল্টে যেতে পারে। সম্প্রতি এই তরঙ্গ আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে বলে শোনা গেলেও বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ নিয়ে বেশ লুকোছাপা দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিদ লরেন্স ক্রাউস এক টুইট-বার্তায় বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কারের কথা শোনা যাচ্ছে। অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এটি আবিষ্কার হয়েছে। আর মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের শতবর্ষের পুরোনো সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বেরও ব্যাখ্যা দেয়।

গার্ডিয়ানের খবরে জানা যায়, মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও লুইজিয়ানার লিভিংস্টোনের অ্যাডভান্স লেসার ইন্টারফেরোমিটার গ্রাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটার (লিগো)। মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কার হলে তা মহাকাশ গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। নতুনভাবে আমাদের কাছে উন্মোচিত হবে মহাকাশ।

বিজ্ঞানী মহলের গুঞ্জন অনুযায়ী, লিগোর বিজ্ঞানীরা মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের আবিষ্কার করেছেন অনেক আগেই। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে নিবন্ধণ লিখছেন।

মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কারের খবর চাউর হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও জ্যোতির্বিদ মহলে এটি আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা হতে দেখা গেছে।

জ্যোতির্বিদ লরেন্স ক্রাউস বলেন, তিনি ৬০ ভাগ নিশ্চিত এবার সত্যিই মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ আবিষ্কার হয়েছে। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে কোনো কিছু প্রকাশ না হলে তাঁর বিশ্বাস ভুল বলে প্রমাণিত হবে।