কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে জনপ্রিয় স্ন্যাপচ্যাট
মূলত কিশোর-কিশোরীদের কথা মাথায় রেখেই এক বছর ধরে অসংখ্য নতুন ফিচার যোগ করেছিল স্ন্যাপচ্যাট। তার ফলাফলও এবার তারা পেয়েছে।
ফেসবুক, টুইটার, এমনকি ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপ্লিকেশনকে পেছনে ফেলে কিশোর-কিশোরীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইমেজ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন স্ন্যাপচ্যাট। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ম্যাশেবল-এর একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জরিপ চালানোর জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান দ্য পাইপার জ্যাফ্রির সর্বশেষ স্টাডি ‘টেকিং স্টক উইথ টিনজ’-এর জন্য মোট সাড়ে ছয় হাজার মার্কিন কিশোর-কিশোরীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তাঁদের কাছে সবচেয়ে উপকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নেটওয়ার্ক কোনটি?
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, শতকরা ২৮ জন স্ন্যাপচ্যাটের কথা বলেছে। এরপরই এসেছে ইনস্টাগ্রামের কথা। জরিপে অংশ নেওয়া ২৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর প্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ইনস্টাগ্রাম।
এর পর রয়েছে টুইটার ও ফেসবুক। যদিও প্রতিযোগিতায় তারা স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ইনস্টাগ্রামের ধারেকাছেও নেই।
‘টেকিং স্টক উইথ টিনজ’ নামে অর্ধবার্ষিক জরিপটির গতবারের ফলাফল দেখলে বোঝা যায়, কত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে স্ন্যাপচ্যাট!
২০১৫ সালের কিশোর-কিশোরীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল ইনস্টাগ্রাম। আর স্ন্যাপচ্যাটের অবস্থান ছিল ফেসবুক ও টুইটারেরও পরে, অর্থাৎ চার নম্বরে।
এই জরিপ থেকে আরেকটি জিনিসের ব্যাপারে পরিষ্কার হওয়া যায়, টেক্সটভিত্তিক মাধ্যম থেকে ছবি কিংবা ভিডিও দেখার অ্যাপ্লিকেশনগুলোই কিশোর-কিশোরীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়।
অবশ্য স্ন্যাপচ্যাটের এই শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে অনেক পরিবর্তন এবং আপডেট যোগ হয়েছে এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে।
স্ন্যাপচ্যাট ডিসকভার কিংবা অস্কারের লাইভ কাভারেজ সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ইমেজ মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনটি বছর ধরে বিভিন্ন ভিডিও এবং পিকচার ফিল্টার যোগ করেছে, সঙ্গে যোগ হয়েছে তুমুল জনপ্রিয় ‘ফেস-সোয়াপিং’ ফিচারটিও।
অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলো যেখানে প্রায় অপরিবর্তিতই থেকে গেছে, সেখানে স্ন্যাপচ্যাট তাদের প্ল্যাটফর্মে সব সময়ই পরিবর্তন আনতে থাকে, যাতে ব্যবহারকারীরা কখনো একঘেয়েমি অনুভব না করেন।
এদিকে, অন্য সব জায়গায় গুগলের জয়জয়কার চললেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুগলের দৈন্য কমেনি।
মাত্র ১ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে জরিপের তলানিতে পড়ে রয়েছে গুগল প্লাস। কাছাকাছি রয়েছে টাম্বলার ও পিন্টারেস্ট। উভয়ের ঝুলিতেই পড়েছে ২ শতাংশ করে ভোট।