শব্দ দিয়ে আগুন নেভাবে ফ্লাইংসসার!

Looks like you've blocked notifications!
ফায়ারসাউন্ড ফ্লাইংসসার দাবানল নেভাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছবি : বিবিসি

বনের মধ্যে ঘুরছে হলুদ রঙের ফ্লাইংসসার (ধারণা করা হয়, ভিনগ্রহবাসী এমন যন্ত্রে চলাচল করে)। খুব নিচে দিয়ে উড়ে যাওয়া এই যান কোথাও আগুন দেখলেই সেখানে এগিয়ে যাচ্ছে এবং হালকা শব্দের মাধ্যমে তা নিভিয়ে ফেলছে। এখনো বাস্তবে না পাওয়া গেলেও এমন অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরির সব অনুষঙ্গই আছে মানুষের হাতে।

বিবিসি জানায়, ফ্লাইংসসাররূপী আগুন নেভানোর কাল্পনিক যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফায়ারসাউন্ড’। বনে দাবানল ছড়িয়ে পড়া রোধে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করছেন এর পরিকল্পনাকারী নকশাবিদ চার্লস বোমবারডায়ের।

ফায়ারসাউন্ডের কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে চার্লস বলেন, বনের মধ্যে উড়ে যাওয়ার পথে এটি শনাক্তকরণ যন্ত্র ও ক্যামেরা ব্যবহার করে আগুন খুঁজবে। কোথাও আগুন লেগেছে বুঝতে পারলে ফায়ারসাউন্ড ওই নির্দিষ্ট স্থান লক্ষ্য করে নির্দিষ্ট তরঙ্গের শব্দ পাঠাবে। এতেই নিভে যাবে আগুন।

চার্লসের মতে, ফায়ারসাউন্ড ফ্লাইংসসার তৈরির সব যন্ত্রপাতিই বর্তমানে পাওয়া যায়। এই উড়ন্ত যানটি হবে ড্রোন। ছোট ও হালকা আগুন শনাক্তকরণ যন্ত্রও এখন বাজারে পাওয়া যায়। আর শব্দ দিয়ে আগুন নেভানোর যন্ত্র গত বছরই বেশ সাড়া ফেলেছে। 

আগুন নেভাতে পানি বা অন্য কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না করে শব্দ কেন ব্যবহার হবে, এর ব্যাখ্যায় চার্লস বলেন, পানি বা রাসায়নিক ব্যবহার হলে নির্দিষ্ট সসারের ওপর নির্দিষ্ট পরিমাণে দ্রব্য বহন করতে হবে। অন্যদিকে শব্দ ব্যবহার হয়ে শুধু এটি তৈরির জন্য যন্ত্র নিলেই চলে।

বিজ্ঞানীরা শুধু ছোট আকৃতিতেই নয়, বড় আকৃতির ফায়ারসাউন্ড তৈরি করে কাজের পরিসর বাড়ানো সম্ভব বলে দাবি করছেন চার্লস বোমবারডায়ের।