স্ন্যাপচ্যাটে প্রতিদিন দেড় কোটি ব্যবহারকারী

Looks like you've blocked notifications!
কিশোর ও তরুণদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাট। ছবি : ব্লুমবার্গ

বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন এখন দেড় কোটি মানুষ স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করছে। দৈনিক ব্যবহারকারীর দিক থেকে মাত্র চার বছরই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের এই অ্যাপ ছাড়িয়ে গেছে টুইটারকে। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তি ও ব্যবসাবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লুমবার্গ।

২০০৬ সালে যাত্রা শুরু করা টুইটারে বর্তমানে প্রতিদিন এক কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছে। মাসে ৩২ কোটির বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে টুইটারের।

ব্লুমবার্গের দেওয়া তথ্যমতে, গত ডিসেম্বরে প্রতিদিন এক কোটি ১০ লাখ ব্যবহারকারী স্ন্যাপচ্যাট অ্যাপটি ব্যবহার করত। একসময় ব্যবহারকারীর দিক থেকে ফেসবুকের পরেই ছিল স্ন্যাপচ্যাটের অবস্থান। কিশোর ও তরুণদের মধ্যে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে স্ন্যাপচ্যাট।

কিন্তু পরে ফেসবুকের অন্যান্য অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তার কারণে পিছিয়ে পড়েছিল স্ন্যাপচ্যাট।

স্ন্যাপচ্যাটে সেলফি ও স্বলদৈর্ঘ্য ভিডিও শেয়ার করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ছবি সম্পাদনার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার। আর এর কারণে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের কাছেই এই অ্যাপ বেশি জনপ্রিয়।

স্ন্যাপচ্যাটের প্রশংসা করে গত বুধবার রিকোড প্রযুক্তি সম্মেলনে টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি বলেন, ‘স্ন্যাপচ্যাট খুবই আধুনিক একটি অ্যাপ।’ তিনি স্বীকার করেন, টুইটার বর্তমানে অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, তবে খুব শিগগির এটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যাত্রা শুরু করে স্ন্যাপচ্যাট। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র থাকা অবস্থায় ইভান স্পাইগেল, ববি মারফি ও রেগি ব্রাউন এই অ্যাপ তৈরি করেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত।