পোকেমন গেম দিয়ে আসামি ধরবে পুলিশ?
পোকেমন গো গেমের দারুণ জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে পলাতক আসামিদের ধরার জন্য টোপ ফেলেছিল যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শহরের পুলিশ বিভাগ। এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
শহরটির পুলিশ বিভাগের ফেসবুক পেজে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানানো হয়, ‘চারিজার্ড’ নামে একটি বিরল পোকেমন সংগ্রহ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের দপ্তর থেকে এই বিরল পোকেমনটি সংগ্রহ করা যাবে।
পোস্টটির সঙ্গে একটি তালিকা সংযুক্ত করে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব ভাগ্যবানের মধ্যে কেউ কেউ দুর্লভ এই পোকেমন পাবেন। এখানেই চালাকির আশ্রয় নেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশের কাছে ‘পলাতক’ হিসেবে যাদের নাম ছিল বা আত্মগোপনে রয়েছে, এমন অপরাধীদের নামই ওই তালিকায় তুলে দেওয়া হয়।
তবে এই চালাকিতে কাজ হয়েছে কি না, সেটা জানা যায়নি। পোকেমনের টোপ দিয়ে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে কি না, তা আর পরে জানানো হয়নি। তবে পুলিশের পোস্টটি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। ১৩ হাজার মানুষ পোস্টটি লাইক করেছেন। শেষ পর্যন্ত পলাতক আসামি ধরতে পুলিশ পোকেমন গেমের আশ্রয় নিয়েছে, এটাও বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে শহরে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের সেন্ট্রাল পার্কে ‘ভাপোরিয়ন’ নামে এক দুর্লভ পোকেমন সংগ্রহ করতে মানুষের ঢল নেমেছিল। তবে পোকেমন গোয়ের এই উত্তেজনা নানা রকম আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে পোকেমন পাগলামি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। তাঁরা বারবার সতর্কবার্তা প্রচার করছেন। রাস্তায় হাঁটার সময় বা গাড়ি চালানোর সময় পোকেমন না খেলতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
পোকেমন গো গেমটি মূলত একটি স্থানভিত্তিক খেলা। জাপানের প্রতিষ্ঠান দ্য পোকেমন কোম্পানির সঙ্গে মিলে এটি তৈরি করেছে মার্কিন গেম ও সফটওয়্যার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান নিয়ান্তিক করপোরেশন। এ মাসেই অ্যানড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চালিত স্মার্টফোনের জন্য গেমটি উন্মুক্ত করা হয়। আর গেমটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এর আগে ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা গেমটি এ রকম জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সব বয়সী মানুষ আগ্রহ নিয়ে গেমটি খেলছে।