শুরু হয়েছে ইএটিএল অ্যাপস প্রতিযোগিতার ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন

Looks like you've blocked notifications!

‘বাংলাদেশের তরুণদের অ্যাপস মাতাবে বিশ্ব’-  এই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম অ্যাপস স্টোর ইএটিএল অ্যাপস স্টোর এর যাত্রা শুরু। এই লক্ষ্য নিয়ে চলছে প্রতিবছর ইএটিএল প্রথম আলো অ্যাপস প্রতিযোগিতা ২০১৬।

এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজিস লিমিটেড (ইএটিএল) ও প্রথম আলোর আয়োজনে গত ২৪ মে চতুর্থবারের মতো শুরু হয় এ প্রতিযোগিতা। আর প্রচারণা পর্ব শুরু হয় চলতি মাসের ১৮ জুলাই। এরই অংশ হিসেবে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন ও সেমিনার।

এরই মধ্যে ঢাকার মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা নর্থ ওয়েস্টার্ন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের হাজি মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভেশন এবং সেমিনার করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতার আয়োজক ইএটিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান বলেন, ‘হোয়াটস অ্যাপের মতো একটি অ্যাপ সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে, পারে একটি জাতির পরিবর্তন আনতে এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে। আমরাও এমন একটি অ্যাপ খুঁজছি যা দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া যাবে। তোমাদের কাছে যদি ভালো একটি ধারণা থাকে তাহলে সে ধারণা নিয়ে অংশ নাও এ প্রতিযোগিতায়। আর তৈরি করো অ্যাপ। এর মাধ্যমে নিজেকে চেনাও এবং সমাজকে সহায়তা করো।’  

www.eatlapps.com/contest2016 ঠিকানার ওয়েবসাইটে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে বিভিন্ন বিভাগে অ্যাপের ধারণা জমা দিতে পারবেন। এরপর জমা পড়া ধারণা থেকে থেকে সেরা ৫০০ ধারণার ঘোষণা দেওয়া হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।

এরপর স্মার্টফোনের জন্য অ্যানড্রয়েড বা আইওএস কিংবা উইন্ডোজ সংস্করণে বানাতে হবে অ্যাপ। তারপর আরো নানান ধাপ পেরিয়ে চলতি বছরের ২৪ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে। প্রতিযোগিতায় সেরা অ্যাপের জন্য রয়েছে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার। সঙ্গে এবার যোগ হচ্ছে ট্রফি।

এ ছাড়া প্রতি বিভাগে প্রথম অ্যাপ পাবে দুই লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংক ও কানাডা সরকার এবারের আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ ও চ্যানেল আই।