পণ্য কেনাবেচার জন্য ‘ফেসবুক মার্কেটপ্লেস’

Looks like you've blocked notifications!

ই-কমার্সে বেশ আটঘাট বেঁধেই নামতে যাচ্ছে ফেসবুক। এমনিতে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমে অনেকে পণ্য কেনাবেচা করে থাকেন। তবে এবার ফেসবুক আলাদাভাবে পণ্য কেনাবেচার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। আর এ জন্য চালু করা হয়েছে নতুন ফিচার ‘মার্কেটপ্লেস’। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।

এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে এই ফিচার চালু করা হয়। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের প্রজেক্ট ম্যানেজার বোয়েন পান বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মাসে ৪৫ কোটি ব্যবহারকারী ফেসবুক পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করে থাকেন। তবে বিষয়টিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইছি আমরা।’

মার্কেটপ্লেসে ব্যবহারকারীরা অন্যদের কাছে যেমন পণ্য বিক্রি করতে পারবেন, তেমনি আবার কিনতেও পারবেন। আবার আপনি যে ধরনের পণ্য খুঁজছেন, সেটা কেনার জন্য বিজ্ঞাপনও দিতে পারেন। অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের মতো এখানেও নির্দিষ্ট পণ্যের ছবি তুলে তার নাম, বিবরণসহ ফেসবুকে আপলোড করতে হবে এবং দাম ও নিজের লোকেশন জানাতে হবে।  

ফেসবুকের মার্কেটপ্লেসে থাকবে বিভিন্ন পণ্যের জন্য নির্দিষ্ট নানা রকম ক্যাটাগরি। এ ছাড়া নিজের শহর ও এলাকার জন্য আলাদা লোকেশন দেওয়া থাকবে। ফলে আপনার এলাকার বা কাছাকাছি এলাকায় রয়েছে এমন কারো কাছ থেকে আপনি পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারবেন।

মার্কেটপ্লেসের প্রজেক্ট ম্যানেজার বোয়েন পান আরো বলেন, ‘ফেসবুক মার্কেটপ্লেসকে আমরা এমনভাবে সাজিয়েছি, যাতে সবকিছুই গোছানো অবস্থায় পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসটা ক্রেতারা সহজেই খুঁজে পান।’

ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কেটপ্লেসকে মোবাইলভিত্তিক ফিচার হিসেবে গড়ে তুলতে চায় তারা। তাই এখন পর্যন্ত ডেস্কটপে ফিচারটি চালু হয়নি। শুরুতে মোবাইল সাইট দিয়েই ফিচারটি চালু করা হয়েছে।

ফেসবুকের ৮৪ শতাংশ আয় আসে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে। অর্থাৎ মোবাইল সাইট ও অ্যাপের মাধ্যমেই বেশি আয় করে থাকে ফেসবুক। গত জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী মোবাইল থেকে প্রতি মাসে গড়ে ১০০ কোটি ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করেন।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে পণ্য কেনাবেচার জন্য ফেসবুককে বাড়তি কোনো অর্থ দিতে হবে না। তবে নিষিদ্ধ বা ক্ষতিকর কোনো বস্তু ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা যাবে না। বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা থাকবে। কোনো পণ্য নিয়ে ব্যবহারকারীদের আপত্তি থাকলে সেটি তাঁরা রিপোর্ট করতে পারবেন।