জেনে নিন ইমোজির আদ্যপান্ত

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : আনস্প্ল্যাশ

আজ সোমবার (১৭ জুলাই) বিশ্ব ইমোজি দিবস। তাই এই দিনটিকে ‘ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। ইমোজির বিভিন্ন অনুভূতির মুখ দিয়ে মনের ভাব না লিখেই প্রকাশ করা যায়। সারাদিন হোয়াটসঅ্যাপে বা সামাজিক মাধ্যমে আপনি যে ইমোজি দিয়ে শব্দ কমিয়ে ইমোশন বাড়ান, সেই ইমোজির আসল মানে এবং কেন এটি হলুদ রঙের হয়, এসব বিষয়ে জানতে ইমোজির আদ্যপান্ত সম্পর্কে জেনে নিন।

সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোশনাল ম্যাসেজ বলা যায় ইমোজিকে। আর এজন্যই ইমোজির এত জনপ্রিয়তা ! ইমোজি পিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বার্গ ১৭ জুলাইকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। কারণ ২০০২ সালে অ্যাপল যেদিন তার iCal ক্যালেন্ডার অ্যাপ্লিকেশন প্রিমিয়ার করেছিল সেই দিনটি ছিল ১৭ জুলাই। তাই আইফোনগুলোতে ১৭ জুলাই ক্যালেন্ডার ইমোজি দেখানো হয়। আর আইফোনগুলোর ক্যালেন্ডার দেখানোর পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এই বিশ্ব ইমোজি দিবস পালন করার চিন্তা মাথায় আসে জেরেমি বার্গের। ২০১৬  সালে দ্য ইমোজি মুভি মুক্তি পাওয়ার পর ইমোজির জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।

যেদিন প্রথম ইমোজি তৈরি হয়

১৯৯৯ সালে প্রথম তৈরি করা হয়েছিল ইমোজি। যদিও এ নিয়ে বির্তক আছে। অনেকেই দাবি করেন, ১৯৯৭ সালে প্রথম ইমোজি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু জাপানি শিল্পী শিগোতাকা কুরিতা ১৯৯৯ সালে জাপানি নকশায় প্রথম ইমোজি নিয়ে কাজ করেন। তিনি তখন ১৭৬টি ক্ষুদ্রাকার ছবি একেছিলেন, যা মাত্র তিন কিলোবাইট জায়গা নিয়েছিল। এই ছবিগুলোতে প্রকাশ পেয়েছির নানা অনুভূতি। জাপানি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এনটিটি ডোকোমোর জন্য কাজটি করেছিলেন ইমোজির জনক শিগোতাকা কুরিতা।

ইমোজি শব্দের অর্থ

ইমোজি শব্দটি এসেছে জাপানি শব্দ “ই”(ছবি) এবং “মোজি”(অক্ষর) থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ হল চিত্রলিপি। এখান থেকেই ইংরেজি সমার্থক শব্দ Emotion এবং Emoticon সৃষ্ট হয়েছে।

ইমোজি কেন হলুদ রঙের হয়

ইমোজির রং নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণা করা হয় নি । তবে অনেকের মতে ইমোজির রং ব্যক্তির ত্বকের সাথে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে যাতে বর্ণবাদ নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। আবার কিছু মানুষ বিশ্বাস করে হলুদ রং সুখের প্রতীক, তাই এ রঙের সাহায্যে সহজেই আবেগকে প্রকাশ করা যায়। তাই ইমোজির রং হলুদ।

ইমোজি যে কারণে এত জনপ্রিয়

শব্দ ছাড়া  অনুভূতি প্রকাশ করতে ইমোজি ব্যবহার করা হয় তাই এটি এত জনপ্রিয়। এই স্মাইলিগুলো খুব সহজেই সারাদিনের সকল অনুভূতি -আবেগ প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়। ইমোজি দ্বারা শব্দহীনভাবে অনুভূতি প্রকাশ করা যায় বলেই এটি মানুষের মাঝে এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইমোজি

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমোজি হল লাফিং/ক্রায়িং ইমোজি। এটি টিয়ারস অফ জয় নামও পরিচিত।এছাড়া স্মাইলিং ফেস উইথ হার্ট,রেড হার্ট,গ্রিনিং ফেস,স্মাইলিং ফেস উইথ সানগ্লাসেস, পার্টি পপার, থামস আপ ইমোজিগুলোও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভীষণ জনপ্রিয়।

সূত্র: উইকিপিডিয়া