১৫ বছরে পদার্পণ করেছে দেশের প্রথম টায়ার-থ্রি ডেটা সেন্টার ‘কোলোসিটি লিমিটেড’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির এই বিশ্বে ডেটা সেন্টার তথা তথ্যকেন্দ্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় একটি অনুসঙ্গ। বিশেষজ্ঞদের মতে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মুদ্রা হবে তথ্য। যার কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি ধনী; তত বেশি প্রভাব বিস্তারকারী। বিশ্বে সর্বাধিকসংখ্যক ডেটা সেন্টার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।
বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারের সংখ্যা হাতে গোনা। তার মধ্যে অন্যতম ”কোলোসিটি লিমিটেড”। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি দেশে প্রথম ‘টায়ার-থ্রি ডেটা স্ট্যান্ডাড সেন্টার’ সেবা চালু করে। যেখানে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সাপ্লাই সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সার্ভার, কুলিং সিস্টেম, নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, প্রাইমারিসহ সেকেন্ডারি এবং ব্যাকআপ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। নিরাপদ ডেটা সংস্থান এবং জিরো ডাউনটাইমে গুরুত্ব দিয়ে গত ১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোলোসিটি লিমিটেড।
কোলোকেশন পরিষেবাগুলো গ্রাহককে সর্বোচ্চ স্তারের নিরাপত্তা এবং অপারেশনাল নির্ভরযোগ্যতায় ডেটা সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। এজন্য আমরা ব্যবহার করি একাধিক ইন্টারনেট লাইন ও এনটিটিএন। "আমরা বাংলাদেশী তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী এবং পেশাজীবীদের উপর আস্থাশীল, উপযুক্ত অবকাঠামো এবং সুযোগ পেলে তারা বিশ্বমানের প্রযুক্তি তৈরী করতে পারে যা দেশ ও দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক সুবিধা বয়ে আনবে।
তাই ১৫ বছর আগে আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের কোলোকেশন ডাটা সেন্টার তৈরী করি", বলছিলেন কোলসিটি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইমাদ ইস্পাহানি। "সেখানেই আমরা থেমে থাকিনি, আমরা বাংলাদেশে প্রথম মাইক্রোসফট অ্যাজুর স্ট্যাক হাব ক্লাউড নিয়ে আসি যেন বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং নতুন তরুণ উদ্যোক্তারা দেশে বিশ্বসেরা ক্লাউড সার্ভিস পেতে পারেন", ইমাদ ইস্পাহানি আরো জানালেন, আমরা টায়ার-থ্রি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে স্বীকৃত এবং আইএসও ৯০০১:২০১৫ এবং আইইসি ২৭০০১:২০১৩ দ্বারা প্রত্যায়িত।’ ‘শিগগিরই আমরা ঢাকার বাইরে আরো দুটি ডেটা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। এ খাতে আমাদেও বড় আকারের বিনিয়োগ রয়েছো। ভবিষ্যতে আরো বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ডেটা কমপ্ল্যায়েন্সের নিশ্চয়তা, ডেটার নির্ভরযোগ্যতা এবং নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় সমাধান আমরা ২৪/৭-এর মধ্যে দিয়ে থাকি। পাশাপাশি আমরা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরাপদ ডিজিটাল সেবা প্রদান করছি মাইক্রোসফট অ্যাজুর স্ট্যাক হাব হাইব্রিড ক্লাউড ‘‘কোলসিটি.ক্লাউড’’ এর মাধ্যমে।’
কোলোসিটি লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. আল ফুয়াদ বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের ডেটা সেন্টারে ১০০ টির অধিক র্যাক রয়েছে, যা বাংলাদেশে অন্যতম। আমাদের সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পার্টনার হিসেবে রয়েছে অ্যাক্রোনিস, জিম্ব্রা, মাইক্রোসফট, ডেল, স্প্যাম টাইটান ও ব্যারাকুডার মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান। আমাদের গ্রাহক হিসেবে রয়েছে ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট, ব্যাংক-বিমাসহ দেশি-বিদেশি ৬০টির অধিক প্রতিষ্ঠান।