‘ফেসবুক, গুগলের সার্ভার দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’
ফেসবুক ও গুগলের সার্ভার বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছে সরকার। দেশে এসব সার্ভার না থাকায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
গতকাল বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এমআইএস ডিপার্টমেন্টের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম, ঢাকা-২০২৪’-এর সংলাপে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘দেশে সিডিএন সার্ভার ও ডিপ প্যাকেট ইন্সপেকশন সার্ভার নেই। ফলে আমাদের ইন্টারনেটের ওপর কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। বিগত সরকারের মতো বর্তমান সরকার নাগরিক হয়রানির জন্য মেটার (ফেসবুক) কাছে কোনো পোস্ট মুছে ফেলার অনুরোধ করে না। তবে ক্রিপ্টো কারেন্সি বা আর্থিক জালিয়াতির মতো ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেটকে কখনোই বন্ধ করা যাবে না, কারণ এটি এখন মৌলিক মানবাধিকার। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন নয়, বরং গাইডলাইন ও সচেতনতা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) চেয়ারম্যান আমিনুল হাকিম বলেন, ‘ইন্টারনেট কোনো প্রযুক্তি নয়, এটি আমাদের ডিজিটাল অধিকার। কোনো সরকার যেন ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার জাইমা ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল। এটি জনগণের অধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তাকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নাগরিকদের দমনের হাতিয়ার ছিল।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সাইদ মো. কারুজ্জামান, এপনিকের ইন্টারনেট রিসোর্স অ্যানালিস্ট সুবহা শামারুখ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল’-এর শারমিন খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেন বিআইজিএফ মহাসচিব এম এ হক অনু।