ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ঘুরুঞ্চি ডটকমের যাত্রা শুরু
বাংলা ভাষায় ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ঘুরুঞ্চি ডটকমের যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মেরিবিরনং কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল চৌধুরী।
নতুন এই ওয়েবসাইটে সারাবিশ্বের বাংলাভাষি সব ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভ্রমণসংক্রান্ত লেখা, নিবন্ধ ও ছবি প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিএসআইআরও’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নওশাদ হক, ঘুরুঞ্চির প্রধান সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদসহ মেলবোর্নের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে কামরুল চৌধুরী বলেন, ‘মেলবোর্ন থেকে বাংলা ভাষায় প্রথম ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইট যাত্রা এক অনন্য ঘটনা। সারাবিশ্বের বাংলাভাষি ভ্রমণপ্রিয় মানুষ তাঁদের লেখনির মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন।’
কামরুল আরও বলেন, ‘ভ্রমণ মানুষের মনকে চাঙা রাখে, শরীর সুস্থ রাখে। ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখি নির্দোষ চিত্তবিনোদনের এক অফুরান উৎস।’
প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী ড. নওশাদ বলেন, ঘুরুঞ্চির নানান উদ্যোগ তিনি কাছ থেকে দেখেছেন। নতুন করে ভ্রমণবিষয়ক এই ওয়েবসাইটের যাত্রা তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে। ভ্রমণে মানুষের মন উদার হয়।
অনুষ্ঠানে ঘুরুঞ্চির প্রধান সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাংলা ভাষায় পরিবেশ ও প্রকৃতিনির্ভর কর্মকাণ্ড এবং ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা বা প্ল্যাটফর্ম নেই। ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিন বাংলা ভাষায় পূর্ণাঙ্গ ট্রাভেল ম্যাগাজিন। মানুষকে প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে উৎসাহিত করা এবং ভ্রমণে আগ্রহী করে তোলাই ঘুরুঞ্চি ম্যাগাজিনের উদ্দেশ্য।’
ঘুরুঞ্চির প্রধান সম্পাদক আরও বলেন, ‘২০২০ সালে ছোট পরিসরে ঘুরুঞ্চির যাত্রা শুরুর পর আর থেমে থাকতে হয়নি। সাত মহাদেশের বাংলাভাষি ভ্রমণকারীরা তাদের লেখা পাঠাতে শুরু করেন। এতে বাড়তে থাকে উৎসাহ। সেই উৎসাহেই ঘুরুঞ্চির নবযাত্রা এই ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে।’ নতুন এ ওয়েবসাইট (Ghurunchi.com) পর্যটকদের আরও উৎসাহ জোগাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ড. সাদিকা জাহান, মাহবুব স্মারক ও ড. জুই গোমেজের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলবোর্নে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি ও অস্ট্রেলিয়ায় ভিক্টোরিয়া প্রদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ছিলে পরিবেশ, প্রকৃতি এবং ভ্রমণবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাতে ঘুরুঞ্চি পরিবারের সদস্যরা গান পরিবেশন করেন।