যুক্তরাজ্য ভ্রমণের লাল তালিকায় বাংলাদেশ, মুক্তি পেল ভারত

Looks like you've blocked notifications!
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ মোট ৬০টি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের লাল তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ মোট ৬০টি দেশকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাল তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাজ্য। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদেরও এসব দেশ ভ্রমণে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট গভডটইউকে বলছে, আপনি যদি গত ১০ দিনের মধ্যে লাল তালিকাভুক্ত দেশে থাকেন, তাহলে কোনোভাবেই যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করতে পারবেন না। তবে ব্রিটেনের নাগরিক, আইরিশ নাগরিক এবং যুক্তরাজ্যে যাদের বসবাসের অনুমতি আছে তারা লাল তালিকাভুক্ত দেশ থেকে ব্রিটেন ভ্রমণ করতে পারবেন। খবর স্কাই নিউজের।

যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, লাল তালিকাভুক্ত হলেও আগামী রোববার (৮ আগস্ট) এই তালিকা থেকে রেহাই পাচ্ছে ভারত, বাহরাইন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। লাল থেকে বাদামি তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছে এই দেশগুলো। এর ফলে এই দেশগুলো থেকে কেউ যুক্তরাজ্য ভ্রমণে গেলে তাকে ১১ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টিনের বিল পরিশোধ করতে হবে না।

ব্রিটেনের সরকার গতকাল বুধবার তাদের ভ্রমণ বিধিনিষেধে পরিবর্তন এনেছে; যা আগামী রোববার থেকে কার্যকর হবে।

লাল তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, অ্যাঙ্গোলা, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বলিভিয়া, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, চিলি, কলম্বিয়া, কঙ্গো (গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র), কোস্টারিকা, কিউবা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, মিসর, ইরিত্রিয়া, সোয়াজিল্যান্ড, ইথিওপিয়া, ফ্রেঞ্চ গিনি, গায়ানা, হাইতি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লেসোথো, মালাউই, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নামিবিয়া, নেপাল, ওমান, পাকিস্তান, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ফিলিপাইন, কাতার, রুয়ান্ডা, সিশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সুরিনাম, তানজানিয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবুয়ে।

উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অথবা লাল তালিকাভুক্ত দেশ ভ্রমণ শেষে কোনো ব্রিটিশ নাগরিক যুক্তরাজ্যে ফিরলে তাঁকে অবশ্যই হোটেল কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে বলে সরকারি নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের পরিবহণ মন্ত্রণালয়।