সিলেটের বুগইল বিলে লাল শাপলার সমারোহ

Looks like you've blocked notifications!

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার শাপলাঘেরা বুগইল বিল এখন পর্যটনের নতুন এক সম্ভাবনা। গোয়াইনঘাট উপজেলার গহড়া গ্রামের দক্ষিণ পাশেই এই বিলের অবস্থান। গোয়াইনঘাটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ছোটখেল মৌজাধীন গহড়া বুগইল বিলটি এখন প্রকৃতি কন্যার বুকে স্থান পেতে যাচ্ছে। বর্তমানে পুরো বিলজুড়ে ফুটে আছে অসংখ্য শাপলা ফুল। এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য।

গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের পশ্চিম পাশেই বৃহৎ এই বিলের অবস্থান। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়কের গহড়া যাত্রী ছাউনিতে নেমে সেখান থেকে যানবাহনে করে কিংবা হেঁটে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পৌঁছানো যাবে এই শাপলা রাজ্যে। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিলটিকে ঢেলে সাজানো হলে গোয়াইনঘাটের পর্যটন ব্যবস্থাপনায় আরো একটি নতুন স্থান লিপিবদ্ধ হবে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণা শুরু হলে পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে এবং এতে করে স্থানীয়রা উপকৃত হবেন। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসা প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুলের মতো অন্যতম আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে লাল শাপলায় মুখর পরিবেশের এই বিলটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিলে ফুটে আছে লাখো শাপলা। পুরো বিলজুড়ে যেন লাল রঙের আভা ছড়িয়ে রয়েছে। সকালে উদিত সোনালী সূর্যের আলো এই সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে চোখে পড়বে বক, পানকৌড়ি, বালিহাঁস, ডাহুক, কোড়া, শালিকসহ নানা জাতের পাখি। পাখিগুলোর ডুব দিয়ে মাছ শিকার করা ও ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া যেন এক অন্যরকম মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

গহড়া গ্রামের আলী আহমদ, নিজাম মিয়া, আবদুল করিম, সিরাজ উদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, শুকনো মৌসুমের অল্প কিছুদিন ছাড়া সারা বছরই এই বিল লাল শাপলায় রঙিন হয়ে থাকে।

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, বিলটির চারপাশে লাখো লাল শাপলা ফোটে। ছোট ছোট নৌকায় করে বিলের চারপাশের সীমারেখায় ঘুরে বেড়ানো যায়। বিশেষ করে ডিঙ্গি নৌকায় করে এই বিলে ঘোরার মজাই আলাদা।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব জানান, পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সরকার আন্তরিক। এ খাতে সরকারের গৃহীত বাস্তবসম্মত নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের ভৌগোলিক সীমারেখায় গড়ে ওঠা যে কোনো দর্শনীয় স্থানকে পর্যটক ও পর্যটনবান্ধব পরিবেশ করে গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট আছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই স্থানকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।