ছুটির দিনে

সোনার চরে কাটিয়ে আসুন স্বপ্নের রাত

Looks like you've blocked notifications!

পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বঙ্গোপসাগরের মাঝে অবস্থিত জনবসতিহীন নির্জন দ্বীপের নাম ‘সোনার চর’। দ্বীপের ১২ কিলোমিটার সৈকতে রয়েছে  লাল কাঁকড়া, বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি, সামুদ্রিক বড় কাঁকড়া, কাশবন ও ঝাউবন। পুরো দ্বীপেই আকাশমণি, গর্জন, সেগুন ও ম্যানগ্রোভ গাছপালায় ভরপুর। জনমানবহীন এ দ্বীপে রয়েছে হিংস্র বন্য মহিষের পাল। এ ছাড়া হরিণ, শিয়াল, মেছোবাঘ, বন্য শূকর, অজগরসহ নানা প্রজাতির সরীসৃপের দেখা মেলে এ বনে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় পুরো সৈকতে সোনালি রং ধারণ করে, তাই এর নাম রাখা হয়েছে সোনার চর। এখানে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। বনবিভাগ এ দ্বীপকে বন্যপ্রাণীর জন্য অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে। বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাণ্ডব থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এ ধরনের দ্বীপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বঙ্গোপসাগরের কোলে নিজের ঘর বানিয়ে থাকার স্বাদ নিতে চাইলে যেতে পারেন সোনার চরে। পুরো দ্বীপে কোনো ঘরবাড়ি না থাকায় বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে সমুদ্রপাড়ে ক্যাম্পিং করে তাঁবুতে কাটাতে পারেন স্বপ্নের রাত। রাতে সমুদ্রের গর্জন, চাঁদের আলোয় ক্যাম্প ফায়ার, সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ, সকালে উঠেই বন্য মহিষের ছুটে চলাসহ এমন নির্জন দ্বীপে সমুদ্রের কোলে কাটানো একটি রাত হয়তো আপনার জীবনের সেরা রাত হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

যাতায়াত

ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে চর কাজল (ভাড়া ৩৫০ টাকা), চর কাজল থেকে ছোট লঞ্চে চর মন্তাজ (ভাড়া ৭০ টাকা)। তারপর রিজার্ভ ট্রলারে করে সোনার চর আসা-যাওয়া (ভাড়া ১৫০০ টাকা)।

থাকা-খাওয়া

সোনার চরে থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে চর মন্তাজ ও রাঙাবালি দ্বীপে জনপ্রতি ১০০ টাকায় থাকার মতো বোর্ডিং আছে এবং অল্প টাকায় খাবারের হোটেলও রয়েছে।