ছুটির দিনে
সাইকেলে মেরিন ড্রাইভ
সমুদ্রের পাশ দিয়ে চলে গেছে রাস্তা। মুক্ত বাতাস আর সাগরের গর্জন, সেইসঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘুরছে সাইকেলের চাকা। এমন একটা রাইডের ইচ্ছা অনেক সাইকেলপ্রেমীর। আর এই জন্য চলে যেতে পারেন মেরিন ড্রাইভ। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পুরোটা রাস্তা থাকবে সাগর আর পাহাড়ের মনমাতানো সৌন্দর্য। এক পাশে নীল সাগর আর অন্য পাশেই পাহাড়ে ঘেরা।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের যেকোনো বাসে চলে যাবেন কক্সবাজার। নিজের সাইকেল বক্স করে নিতে পারেন বা কক্সবাজারে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়, সেটাও নিতে পারেন।
তার পর কক্সবাজার থেকে ইনানী বিচ হয়ে সোজা পথ ধরে চলতে থাকবেন আর দেখতে থাকবেন প্রকৃতি। ৮০ কিলোমিটার রাস্তা পুরোটাই চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো সুন্দর। জেলেদের ছোট ছোট নৌকায় মাছ ধরা। আবার সাগরের পাড়ে দেখতে পাবেন সেই মাছ বাছাইয়ের পর্ব। ওখানে কিছু সময় দাঁড়িয়ে দেখতে পারেন নানা প্রজাতির মাছ। আর অপর পাশেই দেখবেন সবুজ মাঠে কৃষক কাজ করছে। কখনো বা দূরের পাহাড়ে মেঘের খেলাও পেয়ে যেতে পারেন। নির্জন রাস্তায় শুনতে পাবেন পাখির কিচিরমিচির।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি :
১. পাম্পার
২. লুব অয়েল
৫. এলেংকি
৬. চেইন পরিষ্কার করার জন্য এক টুকরো নরম কাপড়
৩. অতিরিক্ত একটা টিউব (চাকার মাপে)
৫. প্যাচ কিট
সুরক্ষার জন্য যা যা লাগবে :
১. হেলমেট
২. গ্লাভস
৩. পানির বোতল (পানি বেশি নেবেন, রাস্তায় কোনো দোকান পাবেন না)
৪. খেজুর
৫. গ্লুকোজ
৬. মাস্ক
৭. ম্যাংগোবার
৮. স্যালাইন
৯. গগলস
সাইকেল চালাতে কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন :
১। রাস্তার বাঁ দিক ঘেঁষে সাইকেল চালাবেন।
২। গ্রুপে রাইড দিলে সামনে গর্ত, ব্রেকার ইত্যাদি পড়লে কল দেবেন, যেন পেছনের সবাই সতর্ক হয়ে যায়।
৩। অযথা ওভারটেক করবেন না।
৪। গিয়ার কম্বিনেশনগুলো বুঝে ঠিক করবেন, যাতে পায়ে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
অবশ্যই মনে রাখবেন যে ব্যাপারটি :
মনে রাখবেন, যেখানেই যান পরিবেশ ময়লা করে আসবেন না। ময়লা ফেলার জায়গা না পেলে প্যাকেট করে নিয়ে এসে ডাস্টবিনে ফেলুন।