ছুটির দিনে
চলুন যাই লটকনের শহরে
প্রতিদিনের অফিস কারই বা ভালো লাগে? একই কাজ করতে করতে মানুষ স্বভাবতই বিরক্ত হয়ে ওঠে। তাই সে খোঁজ করে ভিন্ন কিছুর। তাই ছুটির দিনে এমনই এক ভিন্ন কিছুর স্বাদ দিতে পারে লটকনের বাগান। তাই ঢাকার অদূরে লটকনের শহর নরসিংদীর থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপনি।
লটকন গ্রীষ্মকালীন একটি অতি জনপ্রিয় ফল। ইংরেজিতে এ ফলকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। বড় ছোট কারো না নেই এই ফলে। টকমিষ্টি এই ফল খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দামেও সস্তা। আবার দেখতেও লোভনীয়। বাংলাদেশের যে কয়েকটি স্থানে লটকনের চাষ বেশি হয় তার মধ্যে নরসিংদী অন্যতম। নরসিংদীকে বলা হয় লটকনের শহর। এর স্থানীয় নাম( বুগি)।
কীভাবে যাবেন
আপনি নিজে রওনা দিতে পারেন বুগির( লটকন) শহর নরসিংদীর পথে। সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে মনোহরদী পরিবহনে যাত্রা শুরু করতে পারেন। প্রায় দু ঘণ্টা পর আপনি পৌঁছে যাবেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশাভাড়া দিয়ে আপনি পৌঁছাতে পারেন কাঠপট্টিতে।
আপনি চাইলে নরসিংদী কলেজ গেট এলাকা থেকেও কাঠপট্টিতে যেতে পারেন। ভাড়া ১০ টাকা। তবে পথ বেশি দূরের নয় হেঁটেও যাওয়া সম্ভব। সময় লাগবে ঘড়ি ধরে ১০ মিনিট। তারপর আপনি সেখান থেকে সিএনজি করে রওনা দিতে পারেন জয়নগর চৌরাস্তার পথে। সাত কিলোমিটার পথ তবু সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।
যেখানে লটকন বাগানের শুরু
মূলত জয়নগর চৌরাস্তা থেকেই লটকন বাগানের শুরু। রাস্তার দুই ধারে প্রতি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে দু-চারটি করে লটকন গাছ। কেউ গাছগুলো লাগিয়েছে শখের বসে, আবার কেউ টাটকা লটকনের জন্য। আবার কেউ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে। শিবপুর উপজেলার আজকিতলা গ্রামে মূলত লটকনের বড় বড় বাগান। প্রতি বাগানির রয়েছে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ গাছ। আর গাছভেদে রয়েছে ফলনের ও ভিন্নতা। বড় গাছে তুলনামূলক ফলন বেশি আর ছোট গাছে ফলন কম।
লটকন চাষে খরচ কম। তা ছাড়া রোগ বালাইও তুলনামূলক কম। ১৯২০ সালের দিকে প্রথম নরসিংদীতে লটকনের চাষ শুরু হয় তবে তা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। ১৯৯০ সালের দিকে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে লটকন চাষ এবং সীমিত আকারে আমদানি শুরু হতে থাকে সে সময় থেকেই।তবে আর দেরি কেন চলুন ঘুরে আসি লটকনের শহরে।