পূজায় ঘুরে আসুন বুড়া শিবধাম থেকে

Looks like you've blocked notifications!

বাংলা একাডেমির পেছনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে উঁচু চূড়াবিশিষ্ট লাল রঙের চমৎকার একটি মন্দির। অপরূপ কারুকার্যময় এ মন্দিরের নাম শ্রীশ্রী বুড়া শিবধাম। এই মন্দিরটির কারণেই এ এলাকার নাম শিববাড়ী। ঢাকা মহানগরের মধ্যে এ মন্দির সর্বপ্রাচীন এবং সবচেয়ে বড় ও সুন্দর।

ইতিহাস

জনশ্রুতি আছে, সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে তৈরি হয় মন্দিরটি। তবে বর্তমান কাঠামোটি নির্মাণ করেন বর্ধমানের রাজা স্যার বিজয় চাঁদ। ১৯৭১ সালে এ মন্দিরের সেবায়েতসহ বেশ কয়েকজন সাধুকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পাঁচ শতাধিক বছরের প্রাচীন এ মন্দিরটি ১৯১২ সালের এক ঝড়ে বিধ্বস্ত হলে বর্ধমানের রাজা শিবভক্ত স্যার বিজয় চাঁদ ম্যাকার্থি মন্দির পুনর্নির্মাণ করে দেন। বর্ধমানের রাজা তখন বাস করতেন শিবমন্দিরের পেছনে বর্ধমান হাউসে। সে সময়ে নেপালের রাজা-রানি এ দেশে সফরে এলে এ শিবমন্দির পরিদর্শনে আসতেন। কিন্তু একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের বর্বর আক্রমণ থেকে ঐতিহ্যবাহী এ মন্দিরও রেহাই পায়নি।

যা দেখবেন

দূর থেকে দেখতে পাবেন মন্দিরের চূড়া। পুরোনো দিনের কাঠের জানালা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে পুরোনো দিনের স্মৃতি। মন্দিরে প্রবেশদ্বারে ঢুকেই দেখতে পারবেন নাট মন্দিরের। সঙ্গেই আছে আরো কয়েকটি শিবমন্দির। অন্য রকম শান্তিময় পরিবেশ। চারপাশের ধূপকাঠির গন্ধ আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক অপার্থিব ভুবনে।

যাবেন কীভাবে

ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজেই যেতে পারবেন শ্রীশ্রী বুড়া শিবধাম। মতিঝিল থেকে রিকশায় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিকে গিয়ে যে কাউকে বললেই দেখিয়ে দেবে শ্রীশ্রী বুড়া শিবধাম। ভাড়া নেবে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।