৭০০ টাকায় দেখে আসুন শতবর্ষ পুরোনো কালীমন্দির
হিন্দু পুরাণ মতে দেবী কালী- দুর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তাঁর ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডী, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। সিলেট শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে শুধু কালীঘাট যাব বললেই যে কেউ নিয়ে যাবে আপনাকে কালীঘাট কালীবাড়িতে। আর আপনি চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন সিলেটে শত বছরের পুরোনো কালী মন্দির থেকে আর খরচের কথা ভাবছেন মাত্র ৭০০ টাকা।
সিলেটের কালী মন্দির এলাকাটি কালীঘাট নামেই পরিচিত। কালিমন্দির কে ঘিরেই এই এলাকার নাম কালীঘাট। ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র বিধায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখোর থাকে এই এলাকাটি। প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ আসেন এই মাতৃ মন্দির দর্শন এর নিমিত্তে, এই কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠা কাল সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় নাই তবে প্রবীণদের মতে, বাংলা ১২৬৭ সালের দিকে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। মন্দিরের প্রবেশ দ্বার দিয়ে ঢুকার পরই মাতৃমূর্তির দর্শন পাবেন। কিছু দূরেই দেখা পাবেন মোমবাতি আগরবাতি জ্বালানোর জন্য নির্ধারিত স্থান। আরেকটু সামনেই মূল মন্দির সেখানে চাইলেই আপনি বসে পড়তে পারবেন প্রার্থনায়। কালী মন্দিরের সাথেই আছে শিব মন্দির। সেখানে গেলে দেখা পাবেন পুরোনো স্থাপত্য কর্মের নিদর্শন। সেখানেও চাইলে করতে পারবেন প্রার্থনা।
কীভাবে যাবেন
কালীবাড়ী মন্দির যেতে হলে আপনাকে বাস/ট্রেন করে আসতে হবে সিলেট শহরে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে বাস/ট্রেন ছাড়ে ভাড়া পড়বে ৩২০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। সিলেট শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে কালীবাড়ী যাব বললেই আপনাকে নিয়ে যাবে শত বছরের পুরোনো কালী বাড়িতে। রিকশা/সিএনজি ভাড়া নেবে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।