ছুটির দিনে
সাদা পাথরের দেশে
যত দূর দৃষ্টি যায় দুদিকে সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। এ যেন প্রকৃতির এক স্বর্গরাজ্য। ওপারের মেঘালয়ের চেড়াপুঞ্জি থেকে নেমে আসা জলের স্রোত যার নিচে সাদা পাথর। এসব ঘিরে এক অদ্ভুত সৌন্দর্যের ক্যানভাস।এই সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সিলেটের ভোলাগঞ্জের জিরো পয়েন্টে ।
যা দেখবেন
সড়ক পথে সামনের দিকে যতই এগিয়ে যাবেন চোখের সামনে স্পষ্ট হবে মেঘালয় রাজ্য আর খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়। শান্ত স্তব্ধ পাহাড়, তার সঙ্গে মিশেছে আকাশের নীল। আকাশের গায়ে ছোপছোপ শুভ্র মেঘ।এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে পাথর তোলার হাঁকডাক আর গর্জনে ধলাই নদী পেরিয়ে ভোলাগঞ্জ বাজার। এর পরই চোখের সামনে স্পষ্ট হবে জিরো পয়েন্ট। শান্ত স্তব্ধ পাহাড়, তার সঙ্গে আকাশের নীল।
ছবি- সুমন্ত গুপ্ত
এ ছাড়া জিরো পয়েন্টে যতই দৃষ্টি প্রসারিত হবে, চারদিকে পাথর আর পাথর। এখানে সব পাথর সাদা। রয়েছে সারিসারি পাথর তুলার নৌকাও। সামনের সবুজ পাহাড়, সঙ্গে গড়িয়ে আসা প্রচণ্ড স্রোতের স্বচ্ছ শীতল জল আর সে জল থেকে গড়িয়ে নামা সাদা পাথর। এ যেন প্রকৃতির নিজস্ব ক্যানভাস। সেই ক্যানভাস উপভোগ করতে প্রতিদিন পর্যটকরা ভিড় করে। সাদা পাথরের উপর দিয়ে প্রভাহিত স্বচ্ছ জলে মনের আনন্দেই সাঁতার কাটে। সব ক্লান্তি ভুলে মনের তৃপ্তি নিয়ে ফেরে পর্যটকরা।
কীভাবে যাবেন
ছবি- সুমন্ত গুপ্ত
সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ রুটে। ২০০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজারে নামতে হবে। টুকের বাজার থেকেই ট্রলারে চলে যেতে পারেন সাদা পাথরের দেশ খ্যাত ভোলাগঞ্জের জিরো পয়েন্টে । কোম্পানীগঞ্জ পৌঁছে টুকের বাজার ঘাট থেকে ট্রলারে সাদা পাথর পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগবে। যাওয়া-আসায় নৌকা ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা। তা ছাড়া মাইক্রবাস ভাড়া করেও যেতে পারেন ভাড়া নেবে ৫০০০ টাকা থেকে ৭০০০ টাকা।