ভারতের বিখ্যাত পাঁচ ভুতুড়ে শহর

Looks like you've blocked notifications!
ছবি- পিন্টারেস্ট

ভ্রমণের সময়   অনেকে পছন্দ করেন সমুদ্র সৈকতে যেতে। কেউ বা পাহাড়ে যেতে। আবার অনেকেই আছেন যারা ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শনে যান। এ ধরণের মানুষ সাধারণত নিদর্শনের গল্পগুলো জানতে পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে, ভৌতিক গল্পের চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে! ভূতুড়ে শহরগুলো পরিত্যক্ত বা আধা-পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। যা একসময় প্রাণবন্ত এবং জনবহুল ছিল। তবে এখন নির্জন। এ সব জায়গাগুলোর একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস থাকে। এ সব গল্প বা ইতিহাস সত্য না হলেও, মানুষের আগ্রহের কমতি থাকে না। ভুতের গল্পে আকৃষ্ট হয় প্রায় সবাই। আর ভৌতিক জায়গাগুলোরও দর্শনার্থী অনেক।

ধনুশকোডি, তামিলনাড়ু

ভারতের তামিলনাড়ুর পাম্বান দ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ধনুশকোডি। ১৯৬৪ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় এই শহর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এ সময় ১১৫ জন যাত্রী এবং ৫ জন রেলকর্মীসহ একটি ট্রেন প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে। এই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ৮০০ জন মানুষ মারা যায়। এই ঘটনার পর সরকার জায়গাটিকে ‘ঘোস্ট টাউন’ হিসেবে ঘোষণা করেন। এর আগ পর্যন্ত এটি একটি সমৃদ্ধ শহর ছিল। এখানকার জরাজীর্ণ ভবন ও রেলস্টেশন ট্র্যাজেডির একটি মর্মান্তিক স্মৃতি হিসাবে এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।

লাখপাট, গুজরাট

লাখপাট একসময় একটি ব্যস্ত বন্দর শহর ছিল। এটি একটি বাণিজ্যের কেন্দ্রও ছিল। কিন্তু ১৮১৯  সালে, শহরে একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ভূমিকম্পের পরে লাখপাটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সিন্ধু নদীও তার গতিপথ পরিবর্তন করে। যা কিনা স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। একে একে করে সবাই এই শহর ছেড়ে চলে যায়। ফলে এক সময় এটি একটি জনশূণ্য স্থানে পরিণত হয়। লাখপাতের দেয়াল, বাড়ি এবং মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখন তার অতীত গৌরবের প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

রস আইল্যান্ড, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ারের নিকটে অবস্থিত রস আইল্যান্ড। এটি একসময় ঔপনিবেশিক সময়ে ব্রিটিশদের প্রশাসনিক সদর দফতর ছিল। জানা গিয়েছে, ১৯৪৫-১৯৪৬ সালের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। বর্তমানে পর্যটকরা ব্রিটিশ স্থাপত্যের অবশিষ্টাংশ এবং ধ্বংসাবশেষ দেখতে এই জায়গাতে আসেন।

ফতেহপুর সিক্রি, উত্তর প্রদেশ

ইউনেস্কোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটি ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। পানির অভাবের কারণে ১৬১০ সালের মধ্যেই এটি নির্মাণের অল্প সময়ের মধ্যেই পরিত্যক্ত হয়ে যায়। নির্জন এই শহরটি বুলন্দ দরওয়াজা এবং জামে মসজিদ সহ আশ্চর্যজনক স্থাপত্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

কুলধারা, রাজস্থান

কুলধার, রাজস্থানের জয়সলমীরের নিকটে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত গ্রাম। জানা গিয়েছে, ১৮২৫ সালের এক রাতে কুলধারা এবং আশেপাশের ৮৩টি গ্রামের সমস্ত মানুষ অন্ধকারে উধাও হয়ে যায়। এক রাতের মধ্যেই এই শহরটি নির্জন হয়ে যায়। এখানকার স্থানীয়রা  খালি বাড়ি এবং রহস্যের অনুভূতি রেখে যায়।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া