অং সান সু চির বিচার শেষ পর্যায়ে
নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে মিয়ানমারের জান্তা আদালত অং সান সু চির ১৮ মাসব্যাপী বিচারের চূড়ান্ত যুক্তি শুনবে। একটি আইনি সূত্র মঙ্গলবার এ তথ্য জানানোর পাশাপাশি বলেছে, আগামী সপ্তাহে এই শুনানি হবে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সু চি সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকে সামরিক সরকারের হাতে চলছে দেশ। আর সু চি বন্দি জীবনযাপন করছেন। তাঁকে ১৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি রাখা এবং কোভিড বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার মতো অভিযোগও আছে।
জান্তা আদালত ২৬ ডিসেম্বর দুর্নীতির অবশিষ্ট পাঁচটি অভিযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত উভয় পক্ষের ‘চূড়ান্ত যুক্তি’ শুনবে। মামলা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র একথা জানিয়েছে। দেশটিতে দুর্নীতির অভিযোগে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল হয়।
সূত্রটি বলেছে, ‘এই পর্যায়ের পরে রায় দেওয়া হবে।’ এখনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। যদিও সাংবাদিকদের আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং সু চির আইনজীবীদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ‘৭৭ বছর বয়সী সু চি সুস্থ আছেন।’
জুন মাসে সু চিকে গৃহবন্দি থেকে সেনানির্মিত নেপিদোর একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। যেখানে একটি বিশেষ আদালতে তাঁর বিচার চলতে থাকে।
২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের সময় সামরিক বাহিনী ব্যাপক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি ব্যাপকভাবে জয়লাভ করে, যদিও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছেন যে—ভোট মূলত অবাধ এবং সুষ্ঠু ছিল।
অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার অশান্তির মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর মতে, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।