অনলাইনে ক্লাস, তবু দিতে হচ্ছে আবাসিক ফি
বাকি কোর্সগুলোর বেশিরভাগ ক্লাসই নেওয়া হবে অনলাইনে, তবু আবাসিকের খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনেকে। এসবের দায়ভার নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিংস কলেজ লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সারা। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে লিডসে নিজের বাড়িতে রয়েছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, আবাসিক ফি জমা দেওয়ার পর তাঁর বেশিরভাগ ক্লাস অনলাইনে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে তাঁকে।
এমনিতেই গত ছয় মাস বাড়িতে থেকেও ভাড়া গুনেছেন সারা। এখন আবার টানতে হবে আরো কয়েক মাসের ভাড়া।
সারা সম্প্রতি প্রায় তিন হাজার পাউন্ডের আবাসিক ফি দিয়েছেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর মেয়াদ শুরু হবে। অথচ ক্লাসগুলো হবে অনলাইনে। সময়মতো তাঁকে জানানো হলে সিদ্ধান্ত বদলাতেন সারা।
তবে চতুর্থ বর্ষের শেষ বেলায় কী হবে, তা এখনই বুঝতে পারছেন না সারা। এমনও দেখা যেতে পারে, শেষ সেমিস্টারের সেমিনার সুপারভিশন ও পুরো ক্লাসই অনলাইনে নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া করোনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো কেমন হবে সে ধারণা করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।
সেন্ট অ্যান্ড্রু ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষার্থী রিয়ানন ৫২৫ পাউন্ড মাসিক ভাড়ার একটি কক্ষে থাকেন। তিনি বলেন, ‘মার্চ থেকে আমাদের বাসা খালি। আমি বাড়িতে আছি। বাসা ছেড়ে দিতে চাইছিলাম। পরে বাড়িওয়ালাকে ভাড়া কমানোর কথা বললেও তিনি তাতে কোনোভাবেই রাজি হননি।’
কিংস কলেজ কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে বলেছে, ‘আমরা ব্যাপকভাবে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। সবকিছু মেনে নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু করতে চাই আমরা।’
আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিবিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। তবে যুক্তরাজ্যের ১৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিভার্সিটিজ ইউকে জানিয়েছে, তারা চাইছেন বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় যেন অল্পবিস্তর হলেও শ্রেণিকক্ষে ফেরার ব্যবস্থা নেয়।