অবশেষে ‘গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি’ চূড়ান্ত, কিছু অস্বস্তি রয়েই গেল
অবশেষে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক কপ-২৬ সম্মেলনে মতৈক্য মিলেছে। প্রায় ২০০ দেশের নেতারা দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা করে একটি চুক্তিতে সই করতে একমত হয়েছেন। তবে, কিছু অস্বস্তি থেকে গেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় আলোচনা শেষে ‘গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি’ চূড়ান্ত হয়। এ সময় এবারের সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা কেঁদে ফেলেন।
এ ‘গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি’ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ প্রথম কোনো চুক্তি।
চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরও অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
তবে বিবিসি বলছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কমে ধরে রাখার জন্য এ চুক্তিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়নি।
জ্বালানি উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার ‘বন্ধের প্রতিশ্রুতির’ কথা বলা হলেও শেষ বেলায় এসে তা কয়লার ‘ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতিতে’ শেষ হলো এবারের জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলন। ভারত এতে শেষ মুহূর্তে বাগড়া দিয়েছে।
ভারতের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ভুপেন্দার যাদব বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যেখানে দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, সেখানে তারা কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকির কথা ভাববে আর কয়লার ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেবে।’
সম্মেলন চলাকালে খসড়া চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার একেবারে বন্ধের কথা বলা হলেও কিছু কিছু দেশের অস্বস্তি প্রকাশের কারণে চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার কথা বলা হয়। কপ-২৬ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা এজন্য ‘গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ’ করেছেন।