অবশেষে নোঙর করছে করোনাবাহী সন্দেহে বন্দরে বন্দরে প্রত্যাখ্যাত প্রমোদতরী

Looks like you've blocked notifications!

এশিয়ার পাঁচটি সমুদ্রবন্দর থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে সাগরের বুকে চক্কর কাটতে হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি যাত্রীবাহী জাহাজ এম এস ওয়েস্টেরডামকে। অবশেষে কম্বোডিয়ায় নোঙরের অনুমতি পেয়েছে প্রমোদতরীটি। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রী রয়েছেন, এমন আশঙ্কায় সম্প্রতি জাহাজটিকে নোঙর করতে দেয়নি থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, গুয়াম, ফিলিপাইন ও জাপানের বন্দর।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রমোদতরীকে যাত্রী ও ক্রুসহ জাপানের বন্দরে কোয়ারেন্টাইন (আলাদা করে পর্যবেক্ষণে রাখা) করে রাখা হয়েছিল। ওই প্রমোদতরীতে করোনা আক্রান্ত দুই শতাধিক জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু দুই সহস্রাধিক যাত্রী ও ক্রু থাকা ওয়েস্টেরডামের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। 

গত মঙ্গলবার ব্যাংকক বন্দরে ভিড়তে চেয়েছিল এম এস ওয়েস্টেরডাম। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি দেয়নি।

এরপর থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এম এস ওয়েস্টেরডামকে থাইল্যান্ডের নৌসীমা পার করিয়ে দিলে তা কম্বোডিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে।

অবশেষে আজ সকালে জাহাজটি কম্বোডিয়ার বন্দরনগরী সিহানুকভিলে পৌঁছায়।

হল্যান্ড আমেরিকা লাইনের মালিকানাধীন ওয়েস্টারডাম জাহাজটি গত ১ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ৪৫৫ যাত্রী ও ৮০২ ক্রুসহ হংকং থেকে যাত্রা শুরু করে।

দুই সপ্তাহের জন্য যাত্রা করা জাহাজটির নির্ধারিত সময়সূচি শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা পড়ে জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

ওয়েস্টারডামের কাপ্টেন ভিনসেন্ট স্মিট জানান, আরোহীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিহানুকভিল বন্দরের বাইরে নোঙর করবে  জাহাজটি।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কাম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন থেকে নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবেন জাহাজের আরোহীরা। কম্বোডিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, জাহাজের মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সেখানে একটি দল পাঠানো হয়েছে।