পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন

অভিনেতাদের ওপর ভরসা বুমেরাং হতে পারে তৃণমূলের

Looks like you've blocked notifications!
তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এখন একুশের বিধানসভা ভোটের উত্তাপ মধ্যগগনে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপকভাবে শুরু হয়ে গেছে বিদ্রোহ। এবারে ভোটে টিকেট না পেয়ে এখন তৃণমূলের বহু বিধায়ক ও নেতানেত্রী দলে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিয়েছেন। শুধু বিদ্রোহই নয়, অনেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পথে পা বাড়িয়েও দিয়েছেন।

একুশের নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পেরে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলে এখন ফের ভয়ংকর ভাঙনের ভ্রুকুটি দেখে দিয়েছে। তৃণমূল এবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে স্থান পেয়েছেন টালিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে কলা-কুশলীরা। আর এই সব তারকা রাজনীতিতে পা দিয়েই প্রার্থী হয়ে যাওয়ায় বিষয়টিকে ভালো নজরে নিতে পারেননি তৃণমূলের একটি বড় অংশ। দলের অন্দরেই নেতানেত্রীদের একাংশ এর প্রতিবাদে গর্জে উঠতে শুরু করে দিয়েছেন।

এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, সংগীতশিল্পীরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে রয়েছেন, টালিউডের রাজ চক্রবর্তী, সোহম, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, লাভলি মিত্র, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, সায়নী ঘোষ, অদিতি মুন্সীর মতো তারকারা। প্রার্থী তালিকায় তারকাদের এতো রমরমা ঘটায় তা মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ফলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও দলের অন্দরে অসন্তোষের পারদ বাড়ছে বই কমেনি।

তৃণমূলে শুধু অভিনেতা, অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পীদের প্রার্থী করার কারণেই ক্ষোভ জমছে না, ক্ষোভ জমেছে দলের অনেক প্রবীণ বিধায়ক প্রার্থী না হতে পারার কারণেও। যে কারণে দিন যতো গড়াচ্ছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা যোগাযোগ করতে শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির সঙ্গে। যাদের মধ্যে অনেকে বিজেপিতে যোগদান করার পথেও হাঁটতে শুরু করেছেন। আর এই তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তৃণমূলে।

তৃণমূলের এক সময়ের লড়াকু নেতা ও বিদায়ী বিধায়ক জটু লাহিড়ী, শীতল সর্দার, সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো হেভিওয়েটরাও ক্রমশ বেসুরো হয়ে হেলে পড়ছেন গেরুয়া শিবিরের দিকে। আর এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভোটের মুখে সংকট ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলে।