অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢেউ থামাতে ইইউ’র সঙ্গে আলোচনায় রাজি লুকাশেঙ্কো
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/11/18/belarus.jpg)
পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢেউ থামানোর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্ত সংকটের জন্য বেলারুশকেই দায়ী করেছে ইইউ। এরই মধ্যে বেলারুশের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইইউ জানিয়েছে, শরণার্থী সংকট তৈরি করে ইইউ জোটের ওপর ‘হাইব্রিড আক্রমণ’ চালানোর চেষ্টা করছে বেলারুশ।
এ পরিস্থিতিতে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর ফোনে কথা হয়েছে।
মেরকেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, একবার নয়, চলতি সপ্তাহে দুবার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মেরকেলের। গত সোমবার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। লুকাশেঙ্কো আলোচনায় রাজি। ইইউ ও বেলারুশের মধ্যে নতুন করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরিতেও তিনি উদ্যোগী।
দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হওয়ার পরেই দুই দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। তবে, ইইউ এখনও বেলারুশের প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়ে রেখেছে। গত সোমবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছিলেন ইইউ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে বেলারুশের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব আনা হয়। লুকাশেঙ্কোসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আলোচনাও হয়।
ইইউ বলছে, ‘শরণার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে বেলারুশ। পোল্যান্ড সীমান্তে যাওয়ার জন্য তাদের গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যেভাবে পোল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থী সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী বেলারুশ।’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/11/18/belarus-insert.jpg 676w)
ইইউ যখন এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তখনই কথা শুরু হয় জার্মানি ও বেলারুশের। মেরকেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শরণার্থীদের কাছে যাতে খাবার পৌঁছায় এবং ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছায় তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে বেলারুশকে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো যাতে কাজ করতে পারে, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল পোল্যান্ড সীমান্তে। পোল্যান্ডের নিরাপত্তারক্ষীরা জলকামান চালিয়ে শরণার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। প্রয়োগ করা হয় কাঁদানে গ্যাসও। তবে, গতকাল বুধবার সীমান্ত অপেক্ষাকৃত শান্ত ছিল বলে জানা গেছে।