অলিম্পিকের কূটনৈতিক বর্জন গুরুত্বহীন পদক্ষেপ : এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠাতব্য ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক কূটনৈতিকভাবে বর্জনের কোনো পরিকল্পনা ফ্রান্সের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, কূটনৈতিকভাবে অলিম্পিক বয়কট করার কোনো তাৎপর্য নেই এবং এটি নিতান্তই প্রতীকী ব্যাপারমাত্র।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছে—চীনে মানবাধিকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে আসন্ন শীতকালীন অলিম্পিকে তারা কোনো সরকারি প্রতিনিধি পাঠাবে না। উইঘুর মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের দমন-পীড়নের বিষয়টিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
তবে, এ দেশগুলোর খেলোয়াড়দের অলিম্পিকে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই। একেই বলা হচ্ছে ‘কূটনৈতিক বর্জন’।
হংকংয়ে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর দমন-পীড়ন এবং চীনের তারকা টেনিস খেলোয়াড় পেং শুয়াই একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনার পর তাঁকে (পেং শুয়াই) আর জনসমক্ষে দেখা না যাওয়ার বিষয়টিও চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক বর্জনকারী দেশগুলোর সম্পর্ক খারাপ হওয়ার অন্যতম কারণ।
চীন বলছে, যেসব দেশ শীতকালীন অলিম্পিক কূটনীতিকভাবে বর্জন করছে, এ ভুলের জন্য তাদের মূল্য দিতে হবে।
এরই মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, শীতকালীন অলিম্পিকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে যে আমন্ত্রণ পাঠনো হয়েছে, তা তিনি গ্রহণ করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, অলিম্পিক গেমস নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সেজন্য তিনি এমন পদক্ষেপ নিতে চান যেটি কার্যকরী হবে।
ম্যাক্রো বলেন, ‘হয়তো আপনি পুরোপুরি বয়কট করুন। অ্যাথলেটদেরও পাঠাবেন না। অথবা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করুন।’
পেং শুয়াইয়ের ঘটনার দিকে পরোক্ষ ইঙ্গিত করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তাঁর দেশ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে কাজ করবে।
ম্যাক্রো বলেন, ‘যে পদক্ষেপের কোনো তাৎপর্য নেই, সেটিকে রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়।’