অসুস্থ শয্যাশায়ী নারীকে জ্যান্ত কবর দিল ‘হতাশ’ স্বামী
স্ত্রী রোগে ভুগে শয্যাশায়ী দীর্ঘদিন। হতাশায় সহধর্মিনীকে জ্যান্ত কবর দিলেন এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, ৪৬ বছর বয়সী তুকারাম শেটগাঁওকর একটি সেচ প্রকল্পের জন্য খাল খননের জায়গায় স্ত্রী তনভীকে (৪৪) জীবন্ত পুঁতে ফেলেন।
ভারতের গোয়া রাজ্যে গত বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তুকারামকে আটক করেছে পুলিশ। তুকারাম হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে গোয়ার নারভেম এলাকার বাসিন্দা তুকারাম শেটগাঁওকর তাঁর স্ত্রীকে তিল্লারি সেচ প্রকল্পের খাল নির্মাণস্থলে জীবন্ত অবস্থায় কবর দেন। এর পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে প্রকল্পের কর্মীরা যখন যন্ত্রের সাহায্যে অপরাধস্থলের মাটি সমান করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই প্রকাশ্যে আসে এ খুনের ঘটনা। শ্রমিকরা মাটি সমান করার কাজ শুরুর সময় তাদের বাধা দেন তুকারাম। কিন্তু প্রকল্পকর্মীরা তুকারামের কথা না শুনে কাজ চালিয়ে যান।
এরই মধ্যে মেশিন দিয়ে এক বস্তা মাটি তুলে আনা হয়। দ্বিতীয়বার মাটি তুলতে গিয়েই চমকে যান কর্মীরা। তাঁরা সেখানে এক নারীর দেহ দেখতে পান। কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা তুকারাম সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায়। এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, তারা গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে গোয়া মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সন্দেহভাজন তুকারামকে থানায় তলব করা হয়।
পুলিশি জেরার মুখে একপর্যায়ে নতি স্বীকার করেন তুকারাম। হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। পুলিশকে তুকারাম জানান, উদ্ধার হওয়া দেহটি তাঁর স্ত্রী তনভির। দীর্ঘদিন ধরে খুবই অসুস্থ ও শয্যাশায়ী ছিলেন তনভি। অভাব ও হতাশায় স্ত্রীকে জ্যান্ত কবর দেয় তুকারাম। তুকারাম জানান, খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছিল তাঁদের। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তাঁদের ১৪ বছরের ছেলে স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।