অস্ট্রেলিয়ায় অর্ধশতাধিক জলবায়ুকর্মী গ্রেপ্তার
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক জলবায়ু কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়লাভর্তি একটি ট্রেনে ওঠে পড়ায় ও অবৈধভাবে বিক্ষোভের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার নিউক্যাসেলের নিকটে ট্রেনটি থামানো হয়। কয়লা বহনকারী ট্রেনের জন্য এটি একটি অন্যতম টার্মিনাল। জলবায়ু অধিকার গ্রুপ রাইসিং টাইটের সদস্যরা এই বিক্ষোভ করেছে। গ্রুপটির কয়েকজন সদস্য ট্রেনটির ওপরে উঠে। অলাভজনক গ্রুপটি কয়লাভিত্তিক সমস্ত নতুন প্রজেক্ট বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, রেল করিডরে অপরাধমূলক কাজের জন্য ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে সরকারি ক্ষতির দায়ে ও একজনকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে লাঞ্ছিত করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কয়লা আমদানিতে শীর্ষ পর্যায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে, এই জীবাশ্ম জ্বালানিতে জলবায়ুর বেশ ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন দেশটিতে একটি বিশাল দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। একপক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন রোধের কথা বলছে তো, অন্যপক্ষ ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার কথা বলছে।
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সরকার অর্থাৎ, সেন্টার লেফট লেবার গভর্নমেন্ট একসঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির সমস্ত প্রজেক্ট বন্ধের বিপক্ষে। তারা ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে ইচ্ছুক। এ জন্য একটি আইনও প্রণয়নও করতে চাচ্ছে। তবে, এমনটি হলে কার্বন নিঃসরণের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে অস্ট্রেলিয়া।
শিল্প যুগ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে এক দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। কার্বন নিঃসরণ কমাতে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতা থেকেই যাবে, অর্থাৎ দিনকে দিন তাপমাত্রা বাড়বে।
বিক্ষোভ নিয়ে রাইসিং টাইট গ্রুপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ছবি সম্বলিত বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছে। ওই সব পোস্টে দেখা যায়, গ্রুপটির সদস্যরা ট্রেনের কাছে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই ব্যানারে লেখা ছিল, ‘মানবতার জন্য বেঁচে থাকার নির্দেশিকা : কয়লার নতুন প্রজেক্ট বন্ধ করো।’ এ সময় গ্রুপটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে কয়লাভর্তি ট্রেনের ওপরে উঠে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।