অস্ট্রেলিয়ায় কীভাবে চুরি হলো এক কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য?
অস্ট্রেলিয়ার টেলিকমিউনিকেশন খাতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান অপটাস গত সপ্তাহে জানতে পেরেছে দেশটির প্রায় এক কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪০ ভাগ লোকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির এই ঘটনাকে প্রতিষ্ঠানটি 'সাইবার হামলা' হিসেবে অভিহিত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই সম্ভবত দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় তথ্য চুরির ঘটনা। খবর বিবিসির।
তবে এ সপ্তাহে আরও কিছু নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যার মধ্যে আছে মুক্তিপণের হুমকি, নাগরিকদের উত্তপ্ত বার্তা বিনিময় প্রভৃতি যার কারণে এটি হ্যাকের ঘটনা কি-না তা যাচাই করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তবে একই সাথে এই প্রশ্নও তৈরি হয়েছে যে দেশটি কীভাবে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিকে দেখভাল করে।
সিঙ্গাপুর টেলিকমিউনিকেশন লিঃ-এর একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান অপটাস এবং তারা ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পর প্রকাশ করে যে নেটওয়ার্কে সন্দেহজনক কার্যক্রমের বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে।
অস্ট্রেলিয়ার টেলিকম খাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই প্রতিষ্ঠান জানায় যে তাদের সাবেক ও বর্তমান গ্রাহকদের ডাটা (তথ্য) চুরি হয়েছে। এর মধ্যে আছে নাম, জন্মতারিখ, ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর।
তবে তারা দাবি করে যে পেমেন্ট বিষয়ক তথ্যাদি ও অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়নি।
অস্ট্রেলিয়া সরকার বলেছে, যাদের পাসপোর্ট বা লাইসেন্স নম্বর চুরি হয়েছে তাদের আইডেন্টিটি চুরি বা প্রতারণার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তথ্য চুরির এই সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ।
অপটাস বলছে, তারা ঘটনাটির তদন্ত করছে এবং পুলিশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানিয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এতো বড় চুরির ঘটনাটি দেশের বাইরে থেকে সংঘটিত হয়েছে।
ঘটনার জন্য আবেগময় ভাষায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন অপটাসের প্রধান নির্বাহী কেলি বায়ের রোজমারিন। তিনি বিষয়টিকে 'নিখুঁত হামলা' হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন যে তার কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী।
শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমি ক্ষুব্ধ যে একদল লোক আমাদের গ্রাহকদের সাথে এটা করতে চেয়েছে এবং আমি হতাশ কারণ আমরা সেটি ঠেকাতে পারিনি।’