অস্ত্রবিরতি সত্ত্বেও ইসলামিক জিহাদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা

গাজা উপত্যকায় কথিত ইসলামিক জিহাদ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েল নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের এসব হামলার ফলে এক সপ্তাহের লড়াইয়ে ফিলিস্তিনের ৩৪ নাগরিক নিহত হওয়ার পর করা অস্ত্রবিরতি চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ল। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইসলামিক জিহাদের এক কমান্ডারের অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে গাজা উপত্যকায় দুই দিনের ব্যাপক সহিংসতার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অস্ত্রবিরতি পালন শুরু হয়।
তবে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) সাংবাদিকদের জানায়, ইসলামিক জিহাদের অবস্থান লক্ষ্য করে রাতভর নতুন করে বিমান হামলা চালানো হয়। হামাসের পর গাজায় ইসলামিক জিহাদ হচ্ছে দ্বিতীয় শক্তিশালী ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী।
তারা জানায়, ‘আইডিএফ বর্তমানে গাজায় ইসলামিক জিহাদগোষ্ঠীর বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।’
সামরিক সূত্র জানায়, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে পাঁচবার রকেট হামলা চালানোর জবাবে নতুন করে এ বিমান অভিযান শুরু করা হয়। গাজা থেকে ছোড়া এসব রকেটের মধ্যে দুটি রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঠেকিয়ে দেয়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর বৃহস্পতিবার গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে। অন্যদিকে গাজাতেও নাগরিকরা তুলনামূলকভাবে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাঁদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম শুরু করেছিলেন।
এ উপত্যকার অধিবাসী মাহমুদ জারদা বলেন, ‘আমরা শান্তি আশা করি, আমরা যুদ্ধ চাই না।’
এদিকে মিসর ও জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় গাজা ও ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় এ ভূখণ্ডে নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।