আংশিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রিমিয়া সেতু

Looks like you've blocked notifications!
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ স্থাপনকারী সেতুর কিছু অংশ। ছবি-সংগৃহীত।

ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়ার সঙ্গে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী একমাত্র সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য আংশিকভাবে খুলে দিয়েছে রাশিয়া।

তদন্ত সংস্থাগুলো জানায় ইউরোপের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুতে শনিবারের বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতরা ওই সময়ে বিস্ফোরিত লরির পাশে একটি প্রাইভেটকারে ছিলেন। সেতুটির রেলপথের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করা হয়েছে যেখানে তেলবাহী ট্যাঙ্কারে আগুন ধরে গিয়েছিল। খবর বিবিসির।

এদিকে ঘটনার পরপর সরাসরি ইউক্রেনের দায় স্বীকার না করলেও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘ক্রিমিয়া, এই সেতু এবং এটাই শুরু।’ ‘অবৈধ সবকিছুই ধ্বংস করা হবে, চুরি করা সব কিছু অবশ্যই ইউক্রেনে ফেরত আসবে, রাশিয়ার দখল করা সবকিছুই বাতিল করা হবে।’

ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেতুটির বিস্ফোরণের ঘটনাকে গত এপ্রিলে রাশিয়ার মিসাইল ক্রুজার মস্কোভার ডুবে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এক টুইট বার্তায় তারা বলে, ‘রাশিয়ার শক্তিমত্ত্বার দুটি ভয়ানক প্রতীক ডুবে গেছে।’ ‘এরপর কোনটা?’

অন্যদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা জবাবে বলে, ‘বেসরকারি অবকাঠামো ধ্বংসের বিষয়ে ইউক্রেন জান্তা সরকারের প্রতিক্রিয়া তাদের সন্ত্রাসি মনোভাবেরই পরিচায়ক।’

এই সেতুটি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক সরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও সৈন্য পরিবহণে ব্যবহার করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলেছিল এটা তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু এবং তারা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার কব্জা থেকে পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর।