আফগানিস্তানের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আশরাফ ঘানি

Looks like you've blocked notifications!
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পলাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এক বিবৃতি প্রকাশ করে দেশটির জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ঘানি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

আশরাফ ঘানি গতকাল বুধবার টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কাবুল ছেড়ে আসা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত।’ এজন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন।

তালেবানের হাতে কাবুলের ক্ষমতা দখল হওয়ার সময় সবকিছু যেভাবে ঘটেছে, তার জন্য ঘানি জনগণের কাছে ক্ষমা চান।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলে প্রবেশ করার আগমুহূর্তে আশরাফ ঘানি হঠাৎ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি গতকাল বুধবার টুইটারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

আশরাফ ঘানি বলেছেন, তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাজধানী কাবুলের রাস্তায় রক্তপাত এড়াতে তিনি গত মাসে দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যান। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় সরকারি তহবিল লুণ্ঠনের কথা তিনি অস্বীকার করেন। সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে।

ঘানি বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রাসাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অনুরোধে আমি চলে এসেছি। তারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিল যে, ১৯৯০-এর দশকের গৃহযুদ্ধের সময় শহরের রাস্তায় রাস্তায় ভয়াবহ লড়াইয়ে যে পরিণতি হয়েছিল, সে ধরনের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে। কাবুল ত্যাগ করা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে, আমি মনে করি গোলাগুলি বন্ধ রাখা এবং কাবুলের ৬০ লাখ নাগরিককে রক্ষা করার এটাই ছিল একমাত্র উপায়।’

বাহাত্তর বছর বয়সী আশরাফ ঘানি বলেন, তিনি আফগানিস্তানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য ২০ বছর ধরে কাজ করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, গত কয়েক দশকের অন্যান্য সরকারের মতো তিনিও দেশটিতে ‘স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি’ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এরই মধ্যে জানিয়েছে, তারা ‘মানবিক ভিত্তিতে’ ঘানিকে স্বাগত জানিয়েছে।

আশরাফ ঘানি বলেছেন, গত ১৫ আগস্ট তাঁর আকস্মিক প্রস্থান নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন। তবে তিনি বলেন, কাবুল ত্যাগ করার সময় তাঁর সঙ্গে করে আফগান জনগণের কয়েক মিলিয়ন ডলার নিয়ে যাওয়ার ভিত্তিহীন অভিযোগের বিষয়ে তাঁকে অবশ্যই এখনই কথা বলতে হবে।

রাশিয়ার আরআইএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল, ঘানি চারটি গাড়ি ও হেলিকপ্টারে করে অর্থ নিয়ে কাবুল থেকে চলে যান। জায়গা না হওয়ায় কিছু অর্থ রেখে যান। অন্যান্য সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, তিনি সরকারি কোষাগার থেকে ১৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়েছেন। তাজিকিস্তানে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতও একই অভিযোগ করেন।