২০২১ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের হিসাব

আফগানিস্তানে নারীর কর্মসংস্থান ১৬ শতাংশ কমেছে : আইএলও

Looks like you've blocked notifications!
কাবুলের একটি পোশাক কারখানায় এর স্বত্বাধিকারী সোহাইলা নুরি। ছবিটি গত বৃহস্পতিবার তোলা। ছবি : রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ৮০ জন কর্মী নিয়ে ছোটখাট তিনটি পোশাক কারখানা চালান ২৯ বছর বয়সি উদ্যোক্তা সোহাইলা নুরি। গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর প্রায় ৩০ জন নারীকর্মীকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।

সোহাইলা নুরি বলেন, ‘আমরা আগে কাজ বেশি পেতাম। ওড়না, কামিজ ও বাচ্চাদের পোশাকের বিভিন্ন ধরনের অর্ডার পেতাম। এখন আমাদের হাতে কোনো অর্ডার নেই।’

বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আফগানিস্তানে নারীর কর্মসংস্থান প্রায় ১৬ শতাংশ কমে গেছে। একই সময়ে পুরুষের কর্মসংস্থান কমেছে ছয় শতাংশ।

২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময় নাগাদ তালেবান আমলের আগের তুলনায় নারীর কর্মসংস্থান ২১ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আইএলও।

আইএলও আফগানিস্তানের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী রামিম বেহজাদ বলেন, ‘আফগানিস্তানের বর্তমান সংকটে নারীরা এরই মধ্যে সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে চাকরি কমে গেছে এবং নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ আরোপ করায় অনেক পরিবারে প্রভাব পড়ছে।’

কর্মজীবী নারী সালেহা জানান, পুরো পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব তাঁর ওপর। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার মাসিক আয় এক হাজার আফগানি (১০ মার্কিন ডলারের সমান)। আমিই আমার পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে বলতে গেলে আমার কোনো আয় নেই।’

বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি সহায়তা বন্ধ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রকট অর্থাভাবে আফগানিস্তানের অর্থনীতি চরম সংকটে পড়েছে। গোটা দেশের অর্থনীতির সংকট একইভাবে দেশটির নারীদের জীবনেও পড়ছে।

এদিকে, তালেবান সরকারের ইসলামি আইন চালু করায় কড়াকড়িতে অনেক নারীকে কাজ হারাতে হচ্ছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।