আফগানিস্তানে বকেয়া বেতনের দাবিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানে সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না। সম্প্রতি এসব বকেয়া বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের বরাতে বার্তা সংস্থা এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।

সরদার মোহাম্মদ দাউদ খান হাসপাতালের কয়েক ডজন কর্মচারী এবং নগর ও ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের (এমইউডিএল) কর্মকর্তারা কাবুলে পৃথক বিক্ষোভ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় তাঁরা সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

দাউদ খান হাসপাতালের চিকিৎসকদের অভিযোগ, ১১ মাস ধরে তাঁরা বেতন পান না। চিকিৎসক সামির আহমেদ বলেন, ‘ছয় মাস ধরে বেতন পাইনি। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মেয়াদে দেড় মাস বেতন বাকি রয়েছে। এখন আরও পাঁচ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি।’

এক নারী চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা কর্মস্থলে আসার জন্য পরিবহণ ভাড়া দিচ্ছি। ডলারের মূল্য বেড়েছে, মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে। সরকারের কাছে বেতন দাবি করা আমাদের কর্তব্য।’

হাসপাতালটির কর্মীরা বলেছেন, তারা ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন। আমিনা নামের একজন মেডিকেল স্টাফ বলেন, ‘ভাড়া ও বিদ্যুতের জন্য টাকা দিতে হচ্ছে। আমি আর কোনোমতেই এসব বিল পরিশোধ করতে পারছি না।’

নগর ও ভূমি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরেকটি বিক্ষোভে দাবি করেছেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে। তারা সাত মাস ধরে বেতন পান না।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাজিবুল্লা দোস্তি বলেন, ‘সাত মাস ধরে কোনো বেতন পাই না। অথচ বাসা ভাড়া, বিদ্যুত ও অন্যান্য যাবতীয় বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে।’

খোশবাখতুল্লাহ আয়ুবী নামে একজন বলেন, ‘আফগানিস্তানে ১০ হাজার সরকারি কর্মকর্তার জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।’ সায়্যিদ আলী জান নামে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘খাবার যোগাতে আমি আমার ফ্রিজসহ অন্যান্য গৃহসামগ্রী বিক্রি করে দিয়েছি।’

আফগান সংবাদমাধ্যমগুলো অনুসারে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এসব বকেয়া বেতন পরিশোধে কাজ করছে। অন্যান্য কিছু বিভাগ তাদের বেতন গ্রহণ করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমদ আলী হকমল বলেন, ‘অনেক বিভাগ তাদের বেতন পেয়েছে। অন্য বিভাগের ব্যাপারে কাজ চলছে। দ্রুতই তারা বেতন পাবে।’

গত আগস্টের মাঝামাঝিতে কাবুলের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ক্ষমতা দখলের পরই দেশটিতে সংকট শুরু হয়। বিদেশি দেশগুলো অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া দেশটিতে চরম দারিদ্র্য তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন বর্তমানে দেশটিতে সহায়তা দিচ্ছে।