আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য জি-৭ বৈঠক আজ
বিশ্বের ক্ষমতাধর জি-৭ জোটভুক্ত দেশগুলোর নেতারা আজ মঙ্গলবার এক বিশেষ বৈঠকে বসছেন। যেখানে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়ানো এবং তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি বা নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আলোচনা করা হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর থেকে বিমানবন্দরের হাজার হাজার আফগান নাগরিক দেশ ছাড়ার চেষ্টায় ভিড় করতে থাকে। একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের এবং আফগান সহকর্মীদের মধ্যে যাঁরা যোগ্য তাঁদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের সরকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ৩১ আগস্টের সময়সীমার পরেও কাবুলে অবস্থান করতে পারে। ‘কঠিন এবং বেদনাদায়ক’ পরিস্থিতির মধ্যে প্রত্যাহার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেমোক্রেটিক সদস্য এবং কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডাম শিফ রিপোর্টারদের বলেন, আর আট দিনের মধ্যেই প্রত্যাহার কার্যক্রম শেষ করা যাবে, তা বিশ্বাস করেন না তিনি।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রত্যাহার কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ানোর পক্ষে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জি-৭ বৈঠকে সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, তালেবান সময়সীমা বাড়াতে রাজি নয়। কাতারের দোহায় সশস্ত্র সংগঠনটির রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন জানিয়েছেন, সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ নেই। ৩১ আগস্টের পর আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা অবস্থান মানে হচ্ছে, এই অবস্থানের মানে হচ্ছে আফগানিস্তানে দখলদারিত্বের মেয়াদ বাড়ানো।
এমনটি করা হলে খারাপ পরিণতি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহীন।