আফ্রিকার তিন দেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে

Looks like you've blocked notifications!
ইথিওপিয়ার সোমালি অঞ্চলের সাগাতো গ্রামে প্রচণ্ড ধুলিঝড়ের কবলে একদল নারী ও শিশু। ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি জানিয়েছে—খরা পরিস্থিতি হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলের দেশগুলোর আনুমানিক এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে চরম ক্ষুধার মুখে ঠেলে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে।

ডব্লিউএফপি মঙ্গলবার জানায় ১৯৮১ সালের পর থেকে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া ও কেনিয়া অঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে শুষ্ক আবহাওয়া পরিস্থিতির মুখোমুখি। এ তীব্র মানবিক সংকট এড়াতে জাতিসংঘের সংস্থাটি অবিলম্বে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।

খরা পরিস্থিতি ইথিওপিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, কেনিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল এবং সোমালিয়ার দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলের আবাদি পশুচারণভিত্তিক কৃষক সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অপুষ্টির হার এসব এলাকায় এখন অনেক বেশি।

ডব্লিউএফপি আরও জানায়—পরবর্তী ছয় মাসে ৪০ লাখ ৫০ হাজার মানুষের জন্য সংস্থাটির ৩২ কোটি ৭০ লাখ ডলার প্রয়োজন, যা তীব্র আবহাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের আরও সমর্থ করে তুলবে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএফপি বলেছে, ‘পরপর তিনটি শুষ্ক বর্ষা মৌসুম তাদের (হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চল) ফসল বিনষ্ট করেছে। যার কারণে অস্বাভাবিক হারে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। পানি ও চারণভূমির সংকট বহু পরিবারকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। এবং এ কারণে নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছে।’

জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি বিষয়ক সংস্থা আরও জানায়, আগামী মাসগুলোতে গড়ে আরও কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নেওয়ার হুমকি তৈরি করেছে।

অন্যদিকে, জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা এ মাসের শুরুতে জানিয়েছিল—মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ ইথিওপিয়ার ৬০ লাখের বেশি মানুষের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। সোমালি এনজিও কনসোর্টিয়ামের হিসাব অনুযায়ী, পার্শ্ববর্তী দেশ সোমালিয়ায় ৭০ লাখের বেশি মানুষের এখন জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।