আর্মেনীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের অভিযোগ তুরস্কের বিরুদ্ধে

Looks like you've blocked notifications!
গত রোববার থেকে রাশিয়ার মিত্র আর্মেনিয়া ও তুরস্কের মিত্র আজারবাইজানের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল গত রোববার। এরপর গতকাল মঙ্গলবারের লড়াইয়ে আজারবাইজানের পক্ষে সামরিক শক্তি নিয়ে তুরস্ক অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়া বলছে, তুরস্ক তাদের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এতে নিহত হয়েছেন পাইলট। তুরস্ক অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।

তুরস্ক ও আজারবাইজান দুপক্ষই জানিয়েছে, সস্তা প্রপাগান্ডার জন্যই এভাবে তুরস্ককে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে আর্মেনিয়া।

গত সোমবারের পর গতকাল মঙ্গলবারও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল প্রতিবেশী দুই দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। অভিযোগ উঠেছে, আজারবাইজানের একটি সীমান্ত অঞ্চলে আর্মেনিয়া বোমা নিক্ষেপ করেছে। অন্যদিকে, আজারবাইজানও আর্মেনিয়ার একটি অঞ্চলে গুলি চালিয়েছে এবং বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুদেশের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১২ জন সাধারণ মানুষ। আর আহত হয়েছেন ৩৫ জন।

এর আগে গত সোমবার আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছিল, তুরস্ক সরাসরি আজারবাইজানকে যুদ্ধে সাহায্য করছে। তুরস্ক পাল্টা জবাব দিয়েছিল, বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের। আর্মেনিয়া বেআইনিভাবে তা দখল করে রেখেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফের তুরস্কের দিকে আঙুল তোলে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়ার বিমানবাহিনীর একটি এসইউ২৫ যুদ্ধবিমান তুরস্ক ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করে আর্মেনিয়া। তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আকাশেই আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়। বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।

তুরস্ক অবশ্য আর্মেনিয়ার এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তুরস্ক এ যুদ্ধে অংশ নেয়নি। ফলে আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার প্রশ্নই ওঠে না। এটা একান্তই আর্মেনিয়ার প্রপাগান্ডা। 

অন্যদিকে, আজারবাইজানও আর্মেনিয়ার দাবি অস্বীকার করেছে। তারাও তুরস্কের মতোই বলেছে, আর্মেনিয়া প্রপাগান্ডা করে বিশ্বের নজর কাড়তে চাইছে। তুরস্ক অবশ্য জানিয়েছে, বিতর্কিত অঞ্চল বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে আর্মেনিয়া।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক দেশ, রাশিয়া, চীন—সবাই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

চলমান যুদ্ধে তিন দিনে প্রায় একশজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কয়েকশ মানুষ।