আল-আকসায় ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধে ইসরায়েলকে আহ্বান আরব লিগের

Looks like you've blocked notifications!
আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আরব লিগ। ছবি : রয়টার্স

জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ হামলা বন্ধ করতে তেল আবিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আরব লিগ। একই সঙ্গে মসজিদ কম্পাউন্ডের ভেতরে ইহুদিদের প্রার্থনা বন্ধ করতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার রাতে জর্ডানের রাজধানীতে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়ে এ আহ্বান জানান।

গত ১৫ এপ্রিল ভোরে ইসরায়েলি সেনারা আল-আকসা মসজিদে হামলা ও তাণ্ডব চালায়। ওই হামলায় অনেক ফিলিস্তিনি আহত হন এবং ইসরায়েলি সেনারা বহু ফিলিস্তিনিকে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর কয়েকদিন ধরে আল-আকসায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা।

আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি সেনাদের তাণ্ডবের প্রায় এক সপ্তাহ পর নিজেদের করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার জর্ডানে ‘জরুরি’ বৈঠকে বসেন আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

বৈঠক শেষে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরব লিগের মহাসচিব যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

এ সময় জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো অবস্থায় কুদস শরিফে কোনো ধরনের আগ্রাসন বা এ শহরের পরিচয় মুছে ফেলার কোনো চেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন এবং সেখানে অমুসলিমদের অনুপ্রবেশ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।’

পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে ঘিরে সম্প্রতি ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী পবিত্র এ মসজিদের ভেতরে অভিযান চালানোর ফলে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে ।

আজ শুক্রবারও আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ২৭ জন।

এর আগে গত শুক্রবার আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযানে দেড় শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন। এ ছাড়া প্রায় ৩০০ ফিলিস্তিনিকে আটক করে ইসরায়েল। 

এরপর বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিন ও আল-আকসার পরিস্থিতি নিয়ে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে জরুরি বৈঠকে বসে আরব লিগ। বৈঠকে মুসলমানদের ইবাদতের অধিকার ক্ষুণ্ন করছে ইসরায়েল—এমন মন্তব্য করেন তাঁরা। এ ছাড়া আল-আকসা এবং হারাম আল শরীফের পুরো এলাকাটি একমাত্র মুসলমানদের ইবাদত করার জায়গার দাবি জানায় জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি।

আইমান সাফাদি বলে, ‘আমাদের দাবি স্পষ্ট যে, আল-আকসা এবং হারাম আল শরীফের পুরো এলাকাটি একমাত্র মুসলমানদের ইবাদতের জায়গা।’