ইউক্রেনে আবারও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইউক্রেনের শহরগুলোতে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। তিন দিনের মধ্যে ভোর হওয়ার কিছু সময় আগে চালানো দ্বিতীয়বারের হামলায় খেরসন অঞ্চলে একজন নিহত হয়েছে এবং ডিনিপ্রোতে তিন শিশুসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, তারা রাশিয়ার ছোড়া ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৫টি তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিহত করেছে।
রাশিয়া নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন, হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে একটি ছিল ডিনিপ্রোর কাছে পাভলোহরাদ শহর। সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সম্পদে আঘাত করা হয়েছে। টেলিগ্রামে ভ্লাদিমির রোগভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রেল অবকাঠামো এবং জ্বালানি ডিপোকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে।
রুশ হামলায় ১৯টি আবাসিক এলাকা, ২৫টি বাড়ি, ছয়টি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং পাঁচটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কিছু সময়ের মধ্যে একটি বড় পাল্টা হামলার কথা জানিয়েছে, তবে কোথায় এবং কখন এটি শুরু হতে পারে তা জানায়নি।
ইউক্রেনের ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক সামরিক প্রশাসন হামলার এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক রাত ও সকাল’ বলে বর্ণনা করেছে। অন্যদিকে, রাজধানী কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো বলেন, কিয়েভের আকাশসীমাতেও রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
খেরসনের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, রাশিয়া কামান, ড্রোন ও বিমানের মাধ্যমে ৩৯টি গোলা ছুড়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার ভোর হওয়ার কিছু সময় আগে চালানো রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উমানে ২৩ জন নিহত হয়েছিল। এ সময় রাশিয়া জানিয়েছিল, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত ইউনিটকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী।
রুশ কর্মকর্তারা জানান, রোববার ইউক্রেনের বিমান হামলায় রুশ সীমান্তবর্তী গ্রামে চারজন নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ইউক্রনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত কয়েক মাস ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। সোমবার ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের সেনাবাহিনী বাখমুতের কয়েকটি অবস্থান থেকে রাশিয়ার বাহিনীকে সরিয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আলেক্সান্ডার সিরস্কি টেলিগ্রামে বলেন, পরিস্থিতি বেশ কঠিন। শত্রুরা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।