ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু আইসিসির

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের খারকিভ শহরে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।

আইসিসির ৩৯টি সদস্য রাষ্ট্র এ বিষয়ে তদন্তের অনুরোধ জানানোর পর বুধবার আইসিসির অভিশংসক করিম খান জানান, অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করবেন তিনি।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এরপর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কিয়েভের ভলোদিমিরি জেলেনস্কি সরকারকে উৎখাত করতে পারেনি তারা। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের তথ্য থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

এক টুইটে করিম খান বলেছেন, ‘৩৯টি সদস্য রাষ্ট্রের সুপারিশ পাওয়ার পর ইউক্রেনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এই সুপারিশের কারণে দ্য হেগের আদালতের অনুমোদন এড়িয়ে সরাসারি তদন্ত শুরু করার সুযোগ পেলেন অভিশংসক খান। আদালতের অনুমোদন নেওয়ার প্রক্রিয়ায় গেলে কয়েক মাস সময় লেগে যেত বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে খান বলেছেন, ‘ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের কোনো অংশে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক কোনো যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পূর্ববর্তী ও বর্তমান অভিযোগগুলোর বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে শুরু করবে অভিশংসকের দপ্তর।’

২০১৪ সালের মার্চে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া ও কিছুদিনের মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীগুলোর লড়াই শুরু হওয়ার পর তাদের ভূখণ্ডে আইসিসির বিচারের অধিকার স্বীকার করে নেয় ইউক্রেন। এর ফলে দেশটির ভূখণ্ডে ২০১৩ সালের পর থেকে হওয়া সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি। 

২০২০ সালের ডিসেম্বরে আইসিসির অভিশংসক দপ্তর ঘোষণা করেছিল, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই চলাকালে যুদ্ধপরাধসহ অন্যান্য অপরাধও সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার কারণ আছে তাদের। কিন্তু ওই সময় পূর্ণ তদন্তের জন্য আবেদন আর করা হয়নি। 

উল্লেখ্য, রাশিয়া আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র নয় এবং তারা আদালতটির বিচারের এক্তিয়ার প্রত্যাখ্যান করেছে।