রাশিয়ার আক্রমণের শিকার ইউক্রেনকে কী সদস্য হিসেবে গ্রহণ করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)? এ সপ্তাহেই হয়ত পাওয়া যাবে সে প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু ইইউ সদস্যপদ নিয়ে এ দোলাচলের মধ্যেই আগামী দিনগুলোতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আরও তীব্র হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রোববার রাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে দেওয়া এক ভাষণে জেলেনস্কি ইইউ-র সদস্য হতে ইউক্রেনের ‘ঐতিহাসিক’ লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

জেলেনস্কি বলেন, তিনি এবং তাঁর উপদেষ্টারা আশঙ্কা করছেন, লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাওয়ার কারণে হয়ত ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার ‘আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়বে’।

‘তবে আমি আপনাদের (নাগরিকদের) বলছি আমাদের বাহিনী এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং যেকোনো ধরনের নতুন আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে।’

ইউক্রেনের ইইউ-তে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের সূত্রপাত বলে মনে করা হয়। রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনকে পশ্চিমা প্রভাব বলয়ের বাইরে রাখতে চায়। মুখে স্বীকার না করলেও রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রেমণের মূল কারণ এটা বলেই বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের চারদিন পর কিয়েভ ইইউর সদস্যপদ পেতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে। গত সপ্তাহে ইইউর নির্বাহী কমিটি ‘ইউরোপিয়ান কমিশন’ ইউক্রেনের আবেদনে অনুমোদন দিয়েছে।

এখন এটি ইইউর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের নিয়ে গঠিত পর্ষদ ‘ইউরোপিয়ান কাউন্সিল’এর অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট যে, ১৯৯১ সাল থেকে ইউক্রেনের জন্য এমন কিছু অবশ্যম্ভাবী সিদ্ধান্ত হওয়াই ছিল, যেমনটি এখন আমরা আশা করছি এবং আমি বিশ্বাস করি, একমাত্র একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পুরো ইউরোপের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবে।’

ইউক্রেনের ইইউতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছার বিষয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনের ইইউয়ে যোগ দেওয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘আপত্তি জানানোর কোনো কারণ’ তাঁর কাছে নেই।

তবে তাঁর মুখপাত্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, (ইউক্রেনের ইইউতে যোগ দেওয়ার) দিকে যেকোনও পদক্ষেপ সেদিকে মস্কোর ‘মনযোগ বাড়াবে। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই ইইউর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিষয়ে ইউরোপে আলোচনার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি।”