ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বিবৃতি

Looks like you've blocked notifications!
রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি : রয়টার্স

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দুই মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর প্রথম বারের মতো এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তবে বিবৃতিতে ‘যুদ্ধ’, ‘আগ্রাসন’, ‘সংঘাত’ ইত্যাদি শব্দ এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নরওয়ে ও মেক্সিকো প্রতিনিধি যৌথভাবে এ বিবৃতির খসড়া লিখেছেন। শুক্রবার সে খসড়া জমা দেওয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্যরাষ্ট্রের ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয় সেই বিবৃতি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউক্রেনের শান্তি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ গভীর উদ্‌বেগ প্রকাশ করছে। পরিষদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে, জাতিসংঘ সনদের আওতায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেন এ সংকটের সমাধান করা হয়। এ সমাধানের পথে যেসব আন্তর্জাতিক বাধা রয়েছে, সেসব যেন অহিংস পন্থায় দূর করা হয়।’

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক রাশিয়া ও ইউক্রেন সফরকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুই দেশের মধ্যকার সংকট শান্তিপূর্ণ উপায় সমাধানের প্রস্তাব নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করেছেন। তাঁর এ উদ্যোগকে নিরাপত্তা পরিষদ দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা পরিষদ আশা করছে, সফরে গিয়ে তিনি যে অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন— সে সম্পর্কে তিনি পরিষদের বৈঠকে কিছু বলবেন।’

এদিকে, গুতেরেসও নিরাপত্তা পরিষদের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা, মানুষের জীবন রক্ষা ও ভোগান্তি দূর করতে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, তার সবই করা হবে।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা মোট ১৫। এসব সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচটি পরিষদের স্থায়ী সদস্য— যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন। বাকি ১০টি রাষ্ট্র অস্থায়ী। স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকটিই ভেটো বা আপত্তি জানানোর ক্ষমতা রাখে; অর্থাৎ, কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হলে যেকোনো স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র যদি তাতে আপত্তি জানায়, সে ক্ষেত্রে সে প্রস্তাব আর পাস হয় না।